মেহেরপুরে নকল সিরাপ তৈরির কারখানাসহ ফেন্সিডিল জব্দ – আটক ১

মেহেরপুরে ডিবি পুলিশের অভিযানে নকল যৌন উত্তেজক সিরাপ তৈরির কারখানা বন্ধ করা হয়েছে। সেই সাথে কারখানার মালিক রানাকে আটক করা হয়েছে। রবিবার রাত ৭ টার দিকে অতিরক্তি পুলিশ সুপার (সার্কেল) মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। মেহেরপুর শহরের মল্লিক পাড়া কবি নজরুল স্কুল সড়কে বাবুর স্ত্রী শিল্পি খাতুনের নির্মানাধীণ বাড়িতে এ নকল সিরাপ তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়। তবে পুলিশের দাবি এই বাড়ি ভাড়া নিয়ে কারখানা তৈরি করেছিল নজরুল ইসলাম ওরফে নুজুর ছেলে রানা।
সে এই কারখানায় দির্ঘদিন ধরে নকল সিরাপ তৈরি করে মেহেরপুর সহ আশেপাশের জেলা গুলোতে সাপ্লাই দিয়ে থাকে। শুধু সিরাপই না এই সিরাপের বোতলে ফেন্সিডিল ঢুকিয়ে বিক্রি করতো রানা। এসময় বাড়ির বিভিন্ন কক্ষ তল্লাশি করে নকল সিরাপ তৈরির বিভিন্ন সামগ্রী, মেশিন, খালি বোতল, সিল, লোগো ও ফেন্সিডিলের খালি বোতল উদ্ধার করা হয়।
এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে রানা পিতা নজরুল ইসলাম নুজুর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২৩ বোতল ফেন্সিডিল ও অসংখ্য ফেন্সিডিলের খালি বোতল উদ্ধার করা হয়।
অভিযান শেষে মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা সংবাদ পাই বাবুর স্ত্রী শিল্পি খাতুনের নির্মনাধীণ বাড়িতে অবৈধভাবে বিভিন্ন নকল যৌন উত্তেজক সিরাপ তৈরি করা হয়। রবিবার রাত ৭ টার দিকে মেহেরপুর ডিবি পুলিশকে সাথে নিয়ে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে নকল সিরাপ তৈরির বিভিন্ন সামগ্রী ও মেশিন উদ্ধার করা হয়। শহরের মল্লিক পাড়ার নজরুল ইসলাম নুজুর ছেলে রানা এই কারখান পরিচালনা করতো। এই কারখানার তৈরিকৃত সিরাপ মেহেরপুর সহ বিভিন্ন জেলাতে বিক্রি করতো। সিরাপ বিক্রির পাশাপাশি বোতলে ফেন্সিডিল ঢুকিয়ে বিক্রি করা হতো।
শুধু রানা একা না এর সাথে জড়িত থাকতে পারে তার পিতা নজরুল ইসলামও। শনিবার দিবাগত রাতে নজরুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২৩ বোতল ফেন্সিডিল ও অসংখ্য খালি বোতল উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় রানাকে আটক করা হলেও তার পিতা নজরুল ইসলাম নুজু পলাতক রয়েছে।
নকল সিরাপ তৈরির কারখানা যে বাড়িতে পাওয়া যায় সে বাড়ি মালি বাবুর স্ত্রী শিল্পী খাতুন। এ ঘটনায় শিল্পীকে পাওয়া না গেলেও স্থানীয়রা জানান শিল্পী মুজিবনগর উপজেলার গৌরিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। শিল্পীর বাড়ি ভাড়া নিয়ে রানা নকল সিরাপ তৈরি করতো।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি রবিউল ইসলাম, সেকেন্ড ইন চার্জ মেজবাহ রহমান, এস আই জসিম, এস আই মামুন, এ এস আই ইব্রাহীম বিশ্বাস, এএসআই মনির।

নিজস্ব প্রতিনিধি