মেহেরপুরে ভরণপোষণের দাবিতে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর অভিযোগ

ভরণপোষণ না দেওয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন ছকিনা নামের এক ভুক্তভোগী।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মেহেরপুর নতুন পাড়ার জামাল শেখের ছেলে মো: রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ছকিনা তার ও দুই ছেলের ভরণপোষণের দাবী করলে তা দিতে অস্বীকার করে স্বামী রফিকুল ইসলাম। এছাড়াও তাকে নির্যাতন করে বলে দাবী করেন ছকিনা খাতুন।

ছকিনা খাতুন অভিযোগে জানান, রফিকুল তাকেসহ মোট সাত জন কে বিবাহ করেন। আমার সাথে ২৮ বছর সংসারকালীন অবস্থায় আমার গর্ভে দুটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। তারা হলো ছনি (২৬) ও ইব্রাহিম (১৯)।

সর্বশেষ আমাকে ২০১১ সালে তালাক দিয়ে ২০১৪ সালে তার ৬নং স্ত্রী শাহেনা খাতুন কে পুনরায় বিয়ে করেন। এ সময় ইব্রাহিম তাদের সাথে থাকতো। কিছু দিন পর আমার ছোট ছেলেসহ রফিকুল বিষ পান করলে আমার ছেলের জীবন বাঁচাতে দু’জনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা করায় এতে ২৯ হাজার টাকা খরচ হয়। এরপর রফিকুল আবার আমাকে বিয়ে করেন।

এরপর তিনি শাহেনা খাতুনের সাথে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ৬৫ হাজার টাকায় আপোষ মীমাংসা করেন। এই সমস্ত টাকা ধার দেনা করলে রফিকুল আমার বাড়ির জমি কৃষি ব্যাংকে রেখে ৮০হাজার টাকাসহ বিভিন্ন এনজিও থেকে আরও ২৬হাজার টাকা লোন নেয়।

এই সমস্ত টাকা দেওয়ার কথা বললে তিনি প্রায়ই আমাকে মারধোর করতো।

এমন অবস্থায় তিনি বাড়ি থেকে চলে যান সেই সাথে ছেলেসহ আমার কোন খোঁজ খবর নেন না, এমনকি ভরণপোষণ ও দেন না।

আমি এর প্রতিকার চেয়ে জজ কোর্ট, পুলিশ সুপার, থানা, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আপোষ মীমাংসার জন্য আবেদন করলেও কোন বিচার পাইনি। কারণ রফিকুল জেলা জর্জ কোর্টের পিয়ন। বর্তমানে তিনি মেহেরপুর যুগ্ম-জেলা জজ ২য় আদালতে অফিস সহকারি হিসেবে কর্মরত আছেন।

এ ব্যাপারে রফিকুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি কথা না বলে ফোন কেটে দেন। পরে বিভিন্ন জনকে দিয়ে ফোন করিয়ে নিউজ করতে নিষেধ করেন।