মেহেরপুরে মোবাইলে ভিডিও করে চাঁদা দাবী ২ নারীসহ ৪ জন গ্রেফতার

মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে আটকিয়ে রেখে চাঁদা দাবী মামলায় চাদাঁবাজী চক্রের ২ নারী সদস্যসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মেহেরপুর শহরের ১ নং ওয়ার্ডের ঘোষপাড়া এলাকার শফিকুল ইসলামের স্ত্রী বহুল আলোচিত রুমানা ইয়াসমীন ওরফে রুমা (৪৫), তার সহযোগী চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার চারুলিয়া গ্রামের খাঁপাড়া এলাকার রাসেল আহমেদের মেয়ে বর্তমানে বামনপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসাতে বসবাসরত বিলকিস রাবেয়া ওরফে টুম্পা (২৫), মেহেরপুর ঘোষপাড়া এলাকার দুলাল শেখের ছেলে শাজাহান (২৬) ও আখের আলীর ছেলে হাসান আলী (২৮)।

এসময় তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজীর ১৭ হাজার টাকা ও ৫ টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়েছে। মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে চুয়াডাঙ্গা শহরের ১ নং ওয়ার্ডের মাঝপাড়া এলাকার সব্জী আড়ৎ ব্যবসায়ী স্বপন আলীর স্ত্রী উম্মে রুমানা সিদ্দিকা বাদী হয়ে দন্ড বিধির ৩৪২/৩৮৫/৩৮৬/৩৮৭ ধারায় বুধবার (২৩ নভেম্বর) মেহেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলার নং ৩৩।

গ্রেফতারকৃত ৪ আসামিকে বুধবার বিকালের দিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা মাঝেরপাড়ার স্বপন এর স্ত্রী উম্মে রোমানা সিদ্দিকার দায়ের করা মামলার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার মেহেরপুর শহরের ঘোষপাড়ার শফিকুল ইসলামের স্ত্রী রুমানা ইয়াসমিন তার সহযোগীদের নিয়ে চুয়াডাঙ্গা থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে স্বপনকে ঘোষপাড়ায় ডেকে নেন। পরে তাকে রোমানার বাড়িতে আটক রেখে স্বামীর মোবাইল ফোন থেকে মোবাইল ফোনে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। কথাপোকথনের এক পর্যায়ে এত টাকা দিতে অপরাগত করলে সে ৩০ হাজার টাকা দাবী করে। পরে একটি এজেন্ট বিকাশ নং ০১৯৭০-৪৯০২৪৮ দেন। সেই বিকাশ মোবাইল নং এ দুই দফায় ৫ হাজার করে ১০ হাজার টাকা প্রদান করে বাদী। বাদী উম্মে রুমানা সিদ্দিকা বিষয়টি চুয়াডাঙ্গা ডিবি পুলিশকে অবহিত করলে চুয়াডাঙ্গা ডিবি পুলিশের একটি টিম মেহেরপুর পৌঁছে সদর থানা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে ঘোষপাড়া রোমানা ইয়াসমীন রুমার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে স্বপনকে উদ্ধার করেন।এসময় এবং রুমানা ইয়াসমিনসহ, আবুল হাসন, শাজাহান আলী এবং বিলকিস খাতুনকে গ্রেফতার করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রুমানা ইয়াসমীন একটি নারী চক্র গড়ে তুলে নারীদের দিয়ে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন লোকজনকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে শারীরিক সম্পর্ক ও ভিডিও ধারণ করে ব্লাকমেইল ও চাঁদাবাজী করে আসছেন।

এদিকে পুলিশের টিম অভিযান চালিয়ে রোমানাসহ তার অপর তিন সহযোগীকে গ্রেফতারের সময় ঘোষপাড়া এলাকার লোকজন শ্লোগান দিতে থাকে তার বিচারের দাবীতে। নাম প্রকাশ না শর্তে এলাকাবিরা জানান, রোমানা ইয়াসমীন ওরফে রুমা একটি চক্র গড়ে তুলে দীর্ঘদিন যাবৎ অনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তার ভয়ে এলাকার মানুষজন তটস্থ থাকে। বিভিন্ন সময় অপরিচিত লোকজন তার বাড়িতে আসা যাওয়া করেন।