মেহেরপুরে রুপার বিরুদ্ধে ডিএস আইনে আরও একটি মামলা

মেহেরপুরে রুপার বিরুদ্ধে ডিএস আইনে আরও একটি মামলা

মেহেরপুরে আটলান্টিক হোটেল কাণ্ড মামলার চার্জশিট ভুক্ত আসামি নিলুফার ইয়াসমিন রুপার বিরুদ্ধে মেহেরপুরের একটি আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও একটি মামলা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ মেহেরপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তরুন আহমেদ বাদী হয়ে মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করলে বিচারক মো. তারিক হাসান মামলাটি আমলে নেন। যার নম্বর সিআর ৩৬২/২৩।

মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, আসামী নিলুফার ইয়াসমিন রুপা একজন দুর্দান্ত প্রকৃতির প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্যা এবং দেহ ব্যবসায়ীর সাথে জড়িত থেকে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ান। নিরীহ ব্যক্তিদের ব্লাকমেইল করে নিরীহ মানুষের ঘনিষ্ঠ হয়ে নগ্ন ছবি করে চাঁদা আদায় করে থাকে মর্মে আসামীর অপকর্মের বিষয়ে প্রাথমিক ভাবে প্রমাণিত হলে আসামীকে অভিযুক্ত করে চাঁদাবাজি ও পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইনে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা।

এজাহারে আরো জানা গেছে, আসামী মেহেরপুর শহরে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াই, নিরীহ মানুষদের ফাঁদে ফেলে টাকা পয়সা আদায় করে থাকে। আসামীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত জি.আর- ৪২৯/২২ মামলা থেকে গ্রেফতার এড়ানোর জন্য আসামী নিজেকে মেহেরপুর জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সদস্য না হওয়া স্বত্ত্বেও সদস্য দাবী করিয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার অভিপ্রায়ে এবং মামলার বিচার কার্যক্রম ব্যাঘাত করার জন্য ও পুলিশ প্রশাসনকে চাপে রাখার জন্য আসামী কয়েকজন মহিলা ও পুরুষদের টাকার বিনিময়ে মিথ্যা প্রলোভন দেখাইয়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করে ঘটনার তারিখে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বে-আইনী সমাবেশ করে বক্তব্য প্রদান করে। নিলুফা ইয়াসমিন রুপা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের কোন পদে না থেকেও পদ ব্যবহার করে প্রতারণা মূলক কাজ করছে এবং সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপ চালিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মী ও সমর্থকসহ জনগণের মনে অনুভূতির আঘাত হানিয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মান সম্মান ক্ষুন্ন করেছে।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অর্থাৎ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করেছে । বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি সঠিক স্থানে প্রতিস্থাপন না করিয়া যত্রতত্র ব্যবহার করিয়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আঘাত হানে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অবমাননা করিয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিধান লংঘন করিয়াছে।