মেহেরপুরে স্বামী পরিত্যক্তা মহিলাকে গণধর্ষণ

মেহেরপুর শহরের শেখ পাড়ায় মধ্যে বয়সী স্বামী পরিত্যক্তা এক মহিলা (৪০) কে রাতভর পালাক্রমে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নির্যাতিতা বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে মেহেরপুর সদর থানায় মামলা করেন।

পুলিশ মামলার পরপরই গতকাল বুধবার অভিযান চালিয়ে তিন ধর্ষককে আটক করে। মেহেরপুর সদর থানার এসআই অজুন কুমার সরকার এ অভিযান পরিচালনা করেন।

আটকৃতরা হলো- মেহেরপুর শহরের ৪নং ওয়ার্ডের শেখপাড়ার মৃত আমিন উদ্দিনের ছেলে রাব্বী (২৫), আঃ সামাদের ছেলে শাকিল (২২) ও আনারুলের ছেলে ইমরান (২৩)কে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বিবরণে নির্যাতিতা বলেন, আমি লালনের ভক্ত। এই সুবাদে আমি গত শনিবার (৩০ মে) কালাচাঁদপুর এক মহিলার বাড়িতে গিয়েছিলাম। তিনি বাড়িতে ছিলেন না। পরে আমি বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিই। এসময় কোন গাড়ি বা অটো পাচ্ছিলাম না। হাঁটতে হাঁটতে আসার কারণে একটু সন্ধ্যায় হয়ে যায়। শহরের শেখ পড়ায় পৌঁছানোর পর রাস্তায় আমাদের এক ভক্ত আহসানের সাথে দেখা। আহসান হচ্ছে শেখ পাড়ার তাজুল ইসলামের ছেলে। আহসান আমার পূর্ব পরিচিত। আহসানের সাথে দেখা হওয়ার পরে আমাকে আম ও লিচু দেওয়ার জন্য পাশের বাগানে নিয়ে যায়। ঐ বাগান আহসান পাহারা দেয়। বাগানের ভিতরে গিয়ে দেখি দুজন ছেলে আছে। ওরা আহসানের সাথে থাকে। ওরা সবাই বলল বুবু কয়েকটি আম খেয়ে যান। তাই আমিসহ সবাই বাগানের ভিতর একটি ছোট্ট শান-বাঁধানো জায়গায় বসেছিলাম।

নির্যাতিতা বলেন, হঠাৎ করেই রাব্বি, শাকিল ও ইমরান এসে আমাদের কে গালাগালি করে। বলে তোরা এখানে কি করছিস এই বলেই আহসান সহ ঐ দুটি ছেলের গলায় ছুরি ধরে জিম্মি করে। আমাকে দুজন এসে চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে যখন আমি বাধা প্রদান করি তারা তখন আমার সাথে আচরণ আরও খারাপ করে। তারপর আমাকে বাগানের একটি ঘরে নিয়ে পালাক্রমে রাতভর ধর্ষণ করে। পরে আবার মাঝরাতে তারা হেরোইন সেবন করে আমাকে ধর্ষণ করে এবং আমাকেও খাওয়ানো চেষ্টা চালায়। ভোর রাতে ওরা চলে যাওয়ার সময় আমার মোবাইল, ব্যাগ ও ব্যাগে থাকা ভোটার আইডির কপি, ছবি ও কিছু টাকা নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা বলে ৫০০০ টাকা নিয়ে এগুলো নিতে এখানেই আসবি। আর এখন থেকে তোকে রোজ আসতে হবে। তারপর আহসানের একটি ছেলে আমাকে হাসপাতাল পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে যায়।