মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা সহ ৩ বিভাগে তেল পাম্পে ধর্মঘট: বিপাকে গাড়ি চালকসহ সাধারণ জনগণ

মেহেরপুর সহ খুলনা বিভাগের ১০ জেলা সেই সাথে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের সকল ট্যাংকলরী মালিক-শ্রমিক ও জ্বালানী তেল ব্যবসায়ীরা ১৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষনা করেছে।
গতকাল রবিবার সকাল থেকে খুলনা, রাজশাহী, রংপুর বিভাগের সব জেলাতে তেল উৎপাদন, বিক্রয় ও পরিবহন বন্ধ রেখেছে মালিক-শ্রমিকরা।

বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, বাংলাদেশ ট্রাংক লরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন ও পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ট্যাংকলরি শ্রমিক সমিতির উদ্যোগে জ্বালানি তেল বিক্রয়ের প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে ৭.৫% করা।

জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট নাকি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান? এ বিষয়টি সুনির্দিষ্ট করা, প্রিমিয়াম পরিষোধ সাপেক্ষে ট্যাংকলরি শ্রমিকদের ৫ লক্ষ টাকা দুর্ঘটনা বিমা প্রদানসহ ১৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তেল পাম্প গুলো অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্মঘট শুরু করেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেহেরপুরের সব কটি তেল পাম্পে তেল বিক্রি বন্ধ রয়েছে।
মেহেরপুর পাম্প মালিক সমিতির সভাপতি নুর হোসেন আঙ্গুর জানান, এটি কেন্দ্রের সীদ্ধান্ত। দাবি মানা না হওয়া পর্যন্ত তেল বিক্রয় বন্ধ থাকবে।

এদিকে হটাৎ করেই তেল পাম্পগুলো ধর্মঘট শুরু করাই বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। সেই সাথে সকল বাস-ট্রাক গুলো তেল না পেয়ে অনেকটা বাধ্য হয়েই চলাচল বন্ধ রেখেছে।

দর্শনা প্রতিনিধি জানান, গতকাল রবিবার থেকে চুয়াডাঙ্গা সহ সকল তেল পাম্প গুলো সকাল থেকে ধর্মঘট পালন করেছে পাম্প মালিকরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে পরিবহনসহ মটর সাইকেল চালকরা।

গতকাল রবিবার থেকে খুলনা তিন বিভাগের ১৫ দফা দাবিতে এ ধর্মঘট পালন করেছে পাম্পগুলো। এ ধর্মঘটের মধ্যে রয়েছে তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধি, পেট্রোলপাম্প সংলগ্ন জমির ইজারা বাতিলসহ ১৫ দফা দাবিতে খুলনা বিভাগে সব পাম্পগুলো ভোর ৬ টা থেকে অনিদিষ্ট কালের জন্য শুরু করেছে।

দর্শনা তেল পাম্পে তেল কেনার জন্য যানবাহনের মালিক ও খুচরা ব্যাবসায়ীদের তেল কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়তে দেখা গেছে। বাংলাদেশ পেট্রোলপাম্প ও ট্যংকলরি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ১৫ দফা দাবি জ্বালানি তেল বিক্রয়ের প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে ৭ শতাংশ নিধারণ করা, জ্বালানি তেল ব্যাবসায়ীদের কমিশন, উৎপাদন কারী প্রতিষ্ঠান নাকি পরিবেশক পরিশোধ করবেন সেটা সুনির্দিষ্ট করা, প্রিমিয়াম পরিশোধ সাপেক্ষে ট্যাংলরির শ্রমিকদের ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দৃর্ঘটনা বিমা প্রদানের নীতিমালা প্রনয়ন করা, ট্যাংকলরির ভাড়া বৃদ্ধি করা সহ ১৫ দফা দাবিতে দর্শনায় ধর্মঘট চলছে।

এতে করে প্রথম দিনই মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সেই সাথে খুচরা দোকানে বেশি দামে পেট্রোল বিক্রি করতে দেখা গেছে।

-প্রতিদিন ডেস্ক