মেহেরপুর পৌর মেয়র ও কলেজ ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি

মেহেরপুর শহরের কাচা বাজারে কলেজ ছাত্রলীগের উদ্যোগে হাত ধোয়ার জন্য পানির ট্যাংক বসানো কে কেন্দ্র করে কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি আদিব হোসেন আসিফ ও পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন এর মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।

গত শুক্রবার বিকালে শহরের বড় বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতেই কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি আদিব হোসেন আসিফ ও সম্পাদক কুতুব উদ্দীন সাক্ষরিত একটি প্রেস রিলিজ দেয়। তার প্রতিবাদে পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন পাল্টা বিবৃতি দেয়।

কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ও সম্পাদক প্রেস রিলিজে তারা বলেন, বিশ্বব্যাপি আতংকের নাম হচ্ছে করোনা ভাইরাস, আর এই করোনা ভাইরাসের প্রথম করণীয় হাতকে পরিস্কার এবং জীবানু মুক্ত করার হীন মানসিকতা দেখিয়েছেন এবং ট্যাংক অপসারণ করার যে অপচেষ্টা করেছেন , তার তীব্র প্রতিবাদ করছি।
মেয়র বলেছেন , আমরা নাকি পরিবেশ নষ্ট করছি, এখন আপনাদের কাছে প্রশ্ন ভাইরাসকে মোকাবেলায় রাস্তায় আগত জনগণের জন্য কলেজ ছাত্রলীগের এই উদ্যোগটা কি খারাপ?

এত বড় বাজারে জনগণের হাতকে সুরক্ষা রাখতে আপনি কি ব্যাবস্থা রেখেছেন, এই প্রশ্ন করলে মেয়র বলেন, আমাকে কেউ বলেনি তখন উপস্থিত সকলে বলেন মেয়রকে তাহলে এই সংকটময় পরিস্থিতিতে আপনার করনীয় কি? সদুত্তর দিতে না পেরে মেয়রের এই ধরনের আচরণে আমরা কলেজ ছাত্রলীগ তিব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

পৌর মেয়র মাহফুজুর রমান রিটন পাল্টা বিবৃতে বলেন, সম্মানিত পৌরবাসী আসসালামালাইকুম।
আমি মনে করেছিলাম কিছু লিখব না কিন্তু কিছু তেলবাজদের পোস্ট দেখে লিখতে বাধ্য হলাম। মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের ভাইয়ের ছেলে, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ হাসান আসিফ শহরে দুই একটি স্পটে এই ধরনের হাত ধোয়ার জন্য ট্যাংক বসাইছে। মেহেরপুর বড়বাজার কাঁচাবাজারে একটি দোকানের সামনে ব্যস্ততম রাস্তার ওপরে পৌরসভার পারমিশন ছাড়াই এই টাংকিটি বসিয়েছে।

আপনারা জানেন কিছুদিন আগে রাস্তাটি নতুন করা হয়েছে। আমাকে অনেক বাজারের ব্যবসায়ীরা এটা সরানোর জন্য বলেছে আমি স্পটে যেয়ে দেখি রাস্তার উপরে টাংক টা বসানো হয়েছে। যেখানে কোন বেসিনের ব্যবস্থা নাই। পানি সরাসরি রাস্তার উপরে পড়ছে এর কারনে এলাকাই করোনা ভাইরাসের সংক্রমিত হওয়া ও ডেঙ্গু আশঙ্কা আছে এবং দৈনন্দিন মানুষের চলাচলে বাধাও সৃষ্টি হচ্ছে। সেজন্য এই ট্যাংক টি বন্ধ করার জন্য বলা হয়েছে, তাতে প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের ভাইয়ের ছেলে আমার সাথে অনেক বাজে ব্যবহার করেছে। তার ব্যবহার দেখে আমি খুবই মর্মাহত।

একজন ছাত্রলীগ কর্মীর কাছে এরকম ব্যবহার আমি আশা করিনি। আমি জনগণের ভোটে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত মেয়র। জনগণের সুরক্ষার দায়িত্ব আমার। জনগণ যেটাতে ভালো থাকবে সেটাই আমি করবো। আর এতে যদি কারো ব্যক্তিগত স্বার্থে আঘাত লাগে তাহলে আমার কিছু করার নাই।

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের ক্ষমতাবলে কারো অসৌজন্যমূলক এমন আচরণ এটা মোটেও কাম্য নয়। আমরা এক্ষেত্রে মন্ত্রী মহোদয়ের সুদৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করছি।