মেহেরপুর হিজুলীতে জমি নিয়ে বিরোধ, পনের দিন গৃহবন্দী একটি পরিবার

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নের হিজুলী গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে একটি পরিবারকে।

গ্রামবাসী সুত্রে ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানা যায়, গত দুই সপ্তাহ যাবৎ হিজুলী গ্রামের মরহুম খবির মালিথার ছেলে সবজান আলীর বসত বাড়ীর চারিদিকে বাঁশের বেড়া ও বিভিন্ন কাটা দিয়ে ঘিরে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথ অবরুদ্ধ করে রেখেছে সবজানের সহোদর পাঁচ ভাই।

পিতার জমির অংশের সকলেই দশ শতক করে ভাগ পেলেও সবজানের অংশে বার শতক জমি আছে বলে দাবী ভাইদের । অতিরিক্ত দুই শতক জায়গা ফেরৎ পাওয়ার জন্য পাঁচ ভাই মিলে তাদের জমির সীমানায় বাঁশের বেড়া ও বিভিন্ন কাটা দিয়ে ঘিরে বাড়ি থেকে বের হওয়ার একমাত্র পথটি অবরুদ্ধ করে দিয়েছে।

সবজান আলীর কলেজ পড়–য়া মেয়ে মরিয়ম খাতুন বলেন, এভাবে যাতায়াতের পথ অবরুদ্ধ করে রাখার কারণে আমরা কেউই বাড়ি থেকে বের হতে পারছিনা, এমনকি আমি আমার ২য় বর্ষের টেষ্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারিনি।

শবজানের স্ত্রী বলেন, শ্বশুরের জমির অংশ রাস্তার জন্য সকলেই আট হাত বাদ রেখে দশ শতক করে ভাগ পেয়েছি। শ্বশুরের দান করা অতিরিক্ত দুই শতক জমি আমাদের নামে রেজিষ্ট্রি আছে। কিন্তু ঐ দুই শতক জমি আছে রমজান ও নিয়াজের জমির অংশে। তারা জোর পূর্বক ঐ দুই শতক জমি আমাদের কাছ থেকে দখল রেজিষ্ট্রি নিতে চাই।

আমরা জমি দিতে না চাইলে সবাই মিলে ষড়যন্ত্র করে আমাদের চলাচলের পথটি আটকিয়ে দেয়। চলাচলের একমাত্র পথটি অবরুদ্ধ করায় গরু, ছাগল, হাঁস মুরগী নিয়ে আমরা কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি।
সবজান আলীর লিখিত অভিযোগে জানা যায়, সবজানের পিতা মরহুম খবির মালিথা তাকে বসত বাড়ীর একটি জমি দান করে গেছেন।

প্রায় ৩০ বছরের বেশি সবজান আলী তার ঐ জমিতে বসবাস করে আসছে। কিন্তু হঠাৎ করে সবজানের ৫ ভাই নিহাজ আলী, বাবুর আলী, রমজান আলী, কামাল হোসেন ও জামাল হোসেন তার বাড়ীর সামনে চলাচলের রাস্তায় বাঁশের চটা ও বিভিন্ন কাটা জাতীয় ডালপালা দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। বর্তমানে তার বাড়ীর গরু ছাগল বের করা সহ তার পরিবারের সদস্যদের চলাচলের পথ সম্পূর্ন বন্ধ হয়ে আছে।

এ বিষয়ে তিনি মেহেরপুর জেলা নির্বাহী ম্যাজেষ্ট্রেট আদালতে পাঁচ ভাইকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ৩৪৬/১৯ তারিখ ০১/১২/১৯ । রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এড়াতে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছে গ্রামবাসী।

-বারাদী প্রতিনিধি