মোবাইল কোর্টে গিয়ে খাদ্য সহয়তা প্রদানঃ সহযোগীতার সিদ্ধান্ত ইউএনও

মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের মৃত,তৌহিদ শেখের ছেলে ইসলাম শেখ(বিহারী)। বাগোয়ান ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড ভবেরপাড়া গ্রামের ভোটার তিনি। সোনাপুর নতুনপাড়া মাঠের ভিতর এক টুকরো জমি থাকায় সেখানে বসবাস করে সে।

স্ত্রী,দুই মেয়ে ও এক ছেলে সহ ৫ জনের সংসার তার। একজনের আয়ে চলে তার পরেবারের ৫ জনের পেট। ঝাপের তৈরি একটি কামরার ভিতর রয়েছে একটি মাত্র খাট। এই ঘরের মধ্যেই রান্না, খাওয়া ও পাঁচজন মানুষের বসবাস।

ঘরের টিনগুলোও ভাঙা, উপরের দিকে তাকালে আকাশ দেখা যাই। ঘরের চাটাইয়ের ভাঙ্গা বেড়ার যে কোনো দিক দিয়ে শিয়াল, কুকুর, সাপ বা মানুষও খুব সহজে প্রবেশ করতে পারে। এই ঘরেই রয়েছে বিয়ের উপযুক্ত দুইটি মেয়ে।

বর্তমানে বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাস মহামারি আকারে ধারন করায় মানুষের কাজ কাম, চলা ফেরা সিমিত করে দেওয়া হয়ছে। জনগনকে বারবার বাসায় থাকার জন্য আহব্বান করছে প্রশাসন। কাজ না করেও যাতে করে কেউকে না খেয়ে থাকতে না হয় সে জন্য প্রর্যাপ্ত পরিমানে ত্রান দিচ্ছে সরকার। কিন্তু অনেকেই সরকারী এই অনুদান পেলেও খাবারের জন্য একটিও চাল পাইনি অসহায় পরিবার। তবে সেই পরিবারের প্রতি সুদৃষ্টি পরেছে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উসমান গনীর।

এ অসহায় পরিবারে এ অবস্থার পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। শনিবার বিকালে তার বাড়ি ঘর দেখার পর উপজেলায় ডেকে নিয়ে সরকারী খাবার সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। সামনে কখনো সরকারী বরাদ্ধ গরীবদের মাঝে ঘর আসলে তাকে একটি ঘরের ব্যাবস্থা করে দেওয়া হবে বলে মেহেরপুর প্রতিদিনকে জানিয়েছেন ইউএনও উসমান গনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, শনিবার দুপুরে তার বাড়িতে মোবাইল কোর্টের অভিযান চালানো হয়। কিন্তু সেখানে গিয়ে তার এই দূর-অবস্থা দেখতে পাই।

মাঠের ভিতর একটিই মাত্র বাড়ি, তার উপর ভাঙা ঝাপের ঘর। চোখের সামনে দেখতে পাই স্ত্রী-সন্তানসহ ৫ সদস্য বিশিষ্ঠ পরিবারটির অমানবিক জীবন-যাপন। তার পরিবারে বিয়েতূল্য দুইটা মেয়ে আছে। তাদের দেখার পর নিজের কাছে মনে হলো একে যদি সাজা দিই তাহলে আরো বেশি ক্ষতি হয়ে যাবে এই পরিবারের। একে সাজা দিলে ভাবে থাকবে এই পরিবার।

কে দেবে বিয়েতূল্য দুই মেয়ের নিরাপত্তা।তখন মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম তাকে সাজা দেওয়াতো দূরে থাক, বরং কিছু টাকা এই পরিবারকে দিয়ে আসা উচিত। এরপর সাথে সাথে আমি তাদেরকে উপজেলায় আসতে বলি। তারা উপজেলা আসলে তাদের হাতে তুলে দিই সরকারীভাবে দেওয়া ত্রানের একটি অংশ। আমি যতদিন মুজিবনগরে আছি ততদিন এই পরিবারের এ অবস্থার পরিবর্তন করার চেষ্টা করবো। যতদূর পারি এই পরিবারকে সরকারি সহযোগিতা প্রদান করবো।