“যাওয়া-আসার ভেলকিবাজি, ভোগান্তীতে গ্রাহকরা”

আলমডাঙ্গার বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা (ওজোপাডিকো) অত্যন্ত নাজুক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছে। কিছুতেই নিরবিচ্ছিন্নভাবে গ্রাহকসেবা দিতে পারছে না বিভাগটি। কোন কারন ছাড়াই মিনিটে মিনিটে বিদ্যুৎ চলে যাওয়া আবার মিনিট বাদেই বিদ্যুৎ চলে আসা একটা অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। ওজোপাডিকো পৌর শহরের একটা এলাকায় কিছুক্ষনের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ দিতে পারছে তো অন্য এলাকায় পারছে না। এভাবেই চলছে দিনের পর দিন।
ওজোপাডিকোর এই অবস্থাকে অনেকেই “চোখে মুখে ভেলকি লাগার” সাথে তুলনা করেছেন।
এ ব্যাপারের আলমডাঙ্গার আবাসিক প্রকৌশলী (আর.ই) গোলাম নবী বিদ্যুৎ সঞ্চালনের দূরাবস্থার কথা স্বীকার করে বলেছেন, বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন গেছে সড়কের দু‘পাশের গাছের ডালপালার ভেতর দিয়ে। এ জন্য ঝড়-বৃষ্টিতে নিরবিচ্ছিন্ন সঞ্চালন রাখা দুরহ হয়ে পড়ে। তিনি বিভিন্ন ফিডারের লোডের কথাও অজুহাতে এনেছেন। আবার একটি মেশিন অকেজো হয়ে পড়ে থাকার কথাও বলেছেন।
তিনি নিরিবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ না থাকার বড় কারন চিহ্নিত করে বলেছেন, লোকবলের অনেক ঘাটতি রয়েছে। তিনি বলেন, আলমডাঙ্গা আবাসিক প্রকৌশলীর কার্যালয়ে সরকারী পদ রয়েছে ১৫টি। কিন্ত পদ শুন্য রয়েছে ৭টি। জনবলের কারনে গ্রাহকসেবায় ঘাটতি থেকে যায়।
প্রশ্ন উঠেছে, ঝড়-বৃষ্টিতে গাছের ডালপালার লুটোপুটিতে বিদ্যুৎ না থাকতে পারে। কিন্ত স্বাভাবিক প্রাকৃতিক পরিবেশেও কেন মিনিটে মিনিটে বিদ্যুৎ যাবে আসবে?
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আবাসিক প্রকৌশলীর কার্যালয়ে সরকারী ১৫ টি পদের বিপরীতে ৮ জন নিয়োগপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী দায়িত্ব পালন করলেও শুন্য থাকা ৭ টি পদে ৭ জন ঠিকই মাস্টাররোলে থেকে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।
তবে এই অল্প সংখ্যক কর্মচারী দিয়ে ত্রুটিতে ভরা বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন কতটুকু গ্রাহকসেবা দিতে পারে সেই প্রশ্ন যেমন থেকে যাচ্ছে তেমনই আবাসিক প্রকৌশলীর কার্যালয়ের নিজস্ব কোন ত্রুটি আছে কিনা সেই প্রশ্নও উঠেছে।
গ্রাহকরা বলছেন, মাস গেলেই চড়া বিদ্যুতের বিল তারা পরিশোধ করছেন, ওজোপাডিকোর কোন অজুহাত তারা কেন শুনবেন?