যেভাবে বদলে যাচ্ছে আনিসার সংগীত জীবন

সিনেমার গান অর্থাৎ প্লেব্যাকে শ্রোতা-দর্শকের পাশাপাশি প্রযোজক, পরিচালকের কাছে একজন নির্ভরযোগ্য শিল্পী হয়ে উঠতে পারাটা একজন শিল্পীর জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। এই প্রজন্মের মিষ্টি কণ্ঠের গায়িকা আতিয়া আনিসার সংগীত জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিচ্ছে যেন সিনেমার গানই।

বলা যায়, এখন পর্যন্ত যতগুলো সিনেমায় তিনি গান গেয়েছেন, সব গানই শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে। বিশেষত সর্বশেষ ‘পরাণ’ সিনেমায় জনি হকের লেখা ও নাভেদ পারভেজ’র সুর ও সংগীতে ‘চলো নিরালায়’ গানটি গেয়ে আতিয়া আনিসা বেশ আলোচনায় এসেছেন। ‘পরাণ’ সিনেমাটি যেমন প্রতিনিয়ত দর্শক দেখছেন, গানটিও শুনছেন মুগ্ধ হয়ে।

কৌতূহলী হয়ে অনেকেই জানতে চাইছেন শিল্পী কে। ইউটিউবে সার্চ দিয়ে সবাই জেনে নিচ্ছেন আনিসার নাম। আর এভাবেই একজন শিল্পীর প্রতি শ্রোতা দর্শকের আগ্রহ জন্মায়। শিল্পীরও তখন দায়িত্ব বেড়ে যায় সিনেমাতে আরও ভালো ভালো গান করার।

মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘যদি একদিন’ সিনেমায় আতিয়া আনিসা প্রথম প্লেব্যাক করেন। গানের শিরোনাম ‘চুপকথা’। গানটি লিখেছেন জনিক হক, সুর সংগীত করেছেন ইমরান মাহমুদুল। তিনি সহশিল্পীও ছিলেন। এর পর আনিসা ‘শাহেনশাহ’ সিনেমায় ‘তুই আমি চল’, ‘পাপ পুণ্য’ সিনেমায় ‘তোমার পাশে হাঁটতে দিও’, ‘সাত নম্বর ফ্লোর’ সিনেমায় ‘কোন ইশারায়’ এবং অনন্ত জলিল-বর্ষা অভিনীত ‘দিন দ্য ডে’ সিনেমায় ‘তোকে রাখব খুব আদরে’ প্লেব্যাক করেন। ‘দিন দ্য ডে’ সিনেমার গানটির গীতিকার স্নেহাশীষ ঘোষ, ইমরান মাহমুদুলের সুর সংগীতে আনিসা ইমরানের সঙ্গেই গানটি গেয়েছেন। এই গানটি বেশ সাড়া ফেলেছে দর্শকের মধ্যে। এই গানটি এরই মধ্যে ১৯ লাখেরও বেশি ভিউয়ার্স উপভোগ করেছেন। অন্যদিকে ‘চলো নিরালায়’ গানটি ৩৬ লাখেরও বেশি ভিউয়ার্স উপভোগ করেছেন।

বলা যায়, প্লেব্যাকে আনিসার ভাগ্যটা বেশ সুপ্রসন্ন। তাই বলা যায় প্লেব্যাকই বদলে দিচ্ছে গায়িকা হিসেবে আগামী দিনে তার পথচলার হিসাব-নিকাশ।

আতিয়া আনিসা বলেন, আরও ভালো গল্পের সিনেমার গানে প্লেব্যাক করতে চাই। ছোটবেলা থেকেই যেহেতু সিনেমায় গান গাওয়ার স্বপ্ন আমার, তাই একজন প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবেই আমি প্রতিষ্ঠিত হতে চাই। শিল্পী হিসেবে এটি আমার শুরুই বলা চলে। আমি সবার সঙ্গেই কাজ করতে চাই।