যে কারণে ক্ষমা চেয়ে সেদিন কাঁদতে দেখা যায় কিম জং উনকে

চিরচেনা ও কথিত আচরণের বাইরে অন্য এক কিম জং উনকে দেখা গেল গত শনিবার। তাকে এক সামরিক মহড়ায় সেনা সদস্যদের আত্মত্যাগের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ আর নাগরিকদের জীবনের মান উন্নয়নে ব্যর্থতার জন্য ক্ষমা চাওয়ার সময় আবেগাপ্লুত হতে দেখা গেছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

গত শনিবার উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এই ঘটনা ঘটে। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ফুটেজে এক পর্যায়ে কিম জং উনকে কেঁদে ফেলতে দেখা যায়।

এদিন, একটি নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) উন্মোচন করে পিয়ংইয়ং। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে ২২ চাকার লরির উপর স্থাপিত আইসিবিএমটি প্রদর্শিত হয়। এ যাবতকালের মধ্যে উত্তর কোরিয়া এত বড় ক্ষেপণাস্ত্র আর প্রদর্শন করেনি।

২০১৮ সালের পর এই প্রথম উত্তর কোরিয়া কোনো সামরিক কুচকাওয়াজে আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করে। শনিবার একইসঙ্গে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন বিশাল এক সেনা সমাবেশে ভাষণ দেন। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, উত্তর কোরিয়াকে হুমকি দেয়া হলে তার দেশ পরমাণু অস্ত্রের মাধ্যমে তার জবাব দেবে।