যে কোন সময় কুষ্টিয়ায় লকডাউন

কুষ্টিয়া জেলায় কঠোরভাবে লকডাউন কার্যকর করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে মহামারী করোনায় বর্তমানে কুষ্টিয়া জেলায় করনীয় বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে সংবাদ সম্মেলন শেষে তিনি এ কথা জানান। কুষ্টিয়ায় উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক জানান, জেলার অন্যান্য শ্রেণীর মানুষের সাথে আলোচনা করে খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এক্ষেত্রে জেলায় কঠোরভাবে লকডাউন কার্যকর করা হতে পারে।

সভায় কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা: এএইচএম আনোয়ারুল ইসলাম, কুষ্টিয়া জেনারলে হাসপাতালেল তত্বাবধায়ক ডা: আব্দুল মোমিন, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান সালেক মাসুদ, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এ এস এম মুসা কবির, কুষ্টিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আতিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান কুস্টিয়া প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক আনিসুজ্জামান ডাবলু, কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লবসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা সিভিল সার্জন এইচএম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কুষ্টিয়ায় করোনা রোগী বাড়ার হার ঊর্ধ্বমুখী। এই মুহূর্তে লকডাউনের কোনো বিকল্প নেই। সেটা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। তা না হলে হাসপাতালে রোগীর চাপ সামলানো যাবে না।এছাড়াও ভ্রাম্যমাণ আদালতে জেল–জরিমানা করে তেমন কোনো কাজ হবে না। যে হারে করোনা পজিটিভের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে মানুষকে অন্তত এক সপ্তাহ কঠোরভাবে ঘরে রাখতে হবে। তাহলে করোনার ঊর্ধ্বমুখী হার ঠেকানো সম্ভব না। ঈদের পর থেকে কুষ্টিয়ায় উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলেছে করোনার সংক্রমণ।

গত ১০ দিনে জেলায় ২৫৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয় ৬ জনের। অধিকাংশ রোগী কুষ্টিয়া শহরকেন্দ্রিক। কুষ্টিয়ায় করোনা চিকিৎসার একমাত্র প্রতিষ্ঠান ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল, রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালটিতে নেই কোন আইসিইউ, করোনা ইউনিটে শয্যা মাত্র ৪১টি। এরই মধ্যে সেখানে ৫০ জনেরও বেশী রোগী ঠাঁই নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম। এ সময় জেলার করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গণমাধ্যমকর্মীদের মতামত নেন।