রায় সরিষা হলুদ রঙের রং ছড়ানো শেষে ছেয়ে তুলেছে সবুজের মাঠ

রায় সরিষা হলুদ রঙের রং ছড়ানো শেষে ছেয়ে তুলেছে সবুজের মাঠ

রায়, সরিষা হলুদ রঙের রং ছড়ানো শেষে ছেয়ে তুলেছে সবুজের লিলাভূমিতে। হলুদ ফুলের পাপড়ি গুলো ঝরে দাড়িয়েছে সরিষে দানায়, এতে যেমন হলুদ ফুল গুলো মাঠের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করেছিল তেমনি ফুটে তুলেছিল কৃষকের মুখে হাসি।

সেই রং ছড়ানো শেষে এ যেন এখন সবুজ প্রাকৃতিক সবুজ লীলাভূমির রুপময় সৌন্দর্য। সাথে আশার বার্তা নিয়ে আসছে কৃষকের ঘরে।

এমনটাই গল্পের সাদৃশ্য তুলে ধরছি গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের কৃষক ছাবদুল হোসেনর। ছাবদুল হোসেন গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের মাঠ পাড়ার বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে রায় চাষ করে আসছেন প্রতিবছরের ন্যায় এবারেও ছেড়ে দেননি সেই চাষ, তার এই রায় চাষ মাঠের সৌন্দর্য বর্ধন এলাকার একাংশ বল্লেও কম হবে।

তবে ছাবদুল ইসলাম জানান, রায় প্রতিবছর আমি চাষ করি কারন এটা আমার পরিবারের তেলের যোগান দেয়। সারা বছরে তেল কেনা লাগেনা।পাশাপাশি বিক্রি করেও আর্থিক ভাবে লাভবান হয়। তাছাড়া রায় চাষে খুব বেশি খরচ হয় না।বিগত বছর গুলো তে বিঘাতে ৫০০০-৭০০০ টাকায় হয়ে যেত। তবে এ বছরে ৯০০০-১০০০০ হাজারের মত হবে। প্রতিবছরের তুলনায় দামেও এবার ভালো। খরচের সাথে সাথে দাম টাও খারাপ না। প্রতিবছরে আমার বিঘা প্রতি ফলন হত ৫-৬ মন। তবে এবার আশা করছি ৯-১০ মন হবে। এবারের রায় বর্ষ সেরা। অল্প পুজিতে লাভজনক চাষ হচ্ছে এই রায় চাষ। তাই আমি প্রতি বছরেই করি।

এ বিষয়ে কৃষক তানজিদ হোসেন জানান, প্রতি বছরের তুলনায় এবারের রায় চাষ মাঠে বেশিই আছে। এ বছরের মত কোন বছরে দেখা যায় না।

কৃষক কামরুল ইসলাম বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধির কারনে আমরা এই রায় সশ্য চাষ করছি যাতে করে তেল কিনতে না হয়। আবার অল্প পুঁজি তেও আবাদ তুলতে পারছি।

স্থানীয় আরো অনেকে জানিয়েছেন এমন চাষের সাথে ফলনের পরিমান বৃদ্ধি পেতে থাকলে তেলের সংকট কমবে। এবং নির্ভেজাল তেল খেতে পারবো বলেও মনে করি।