ভারতীয় ক্রিকেটের ‘রোহিত-পরবর্তী যুগ’ শুরুই হয়নি। তার আগেই নতুন ধাক্কা—টেস্ট ক্রিকেট ছাড়ার সিদ্ধান্ত বোর্ডকে জানিয়ে দিয়েছেন বিরাট কোহলি। যদিও বিসিসিআই তাকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছে। তবে আপাতত কোহলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেছে বলেই জানা গেছে।
বিসিসিআই সূত্রে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, ইংল্যান্ড সফরের আগে এমন সময়ে কোহলির এমন সিদ্ধান্তে বোর্ড চিন্তিত। রোহিত শর্মার টেস্ট অবসর ঘোষণার দুই দিনের মাথায় এলো এই খবর। সামনে পাঁচ টেস্টের ইংল্যান্ড সফর, যেখানে কোহলি না থাকলে ভারতের টেস্ট দল হয়ে পড়বে অভিজ্ঞতাহীন।
ভারতের হয়ে ১২৩টি টেস্টে ৯২৩০ রান করা কোহলির গড় ৪৬.৮৫। তবে গত পাঁচ বছরে তার গড় নেমে এসেছে ৩৭ ম্যাচে ১,৯৯০ রান এবং মাত্র তিনটি শতকে। সাম্প্রতিক অস্ট্রেলিয়া সফরে তার গড় ছিল মাত্র ২৩.৭৫। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে সাতবার আউট হয়ে আরও একবার সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
গত মার্চে এক অনুষ্ঠানে কোহলি বলেছিলেন, ‘আমার আর হয়তো কোনো অস্ট্রেলিয়া সফর বাকি নেই।’ এমন নয় যে ব্যাট হাতে কোহলি পুরোপুরি ছন্দহীন। চলতি আইপিএলে ১১ ম্যাচে ৫০৫ রান করে তিনি রয়েছেন দুর্দান্ত ফর্মে। কিন্তু টেস্ট ফরম্যাটের ধৈর্য ও মানসিক চাপ—দুটি বিষয়েই হয়তো তিনি ক্লান্ত।
টেস্ট থেকে অবসরের আগে কোহলি ইতোমধ্যেই টি–টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক থেকে বিদায় নিয়েছেন। তখন ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে বিদায় নিয়েছিলেন। এবার যদি টেস্টকেও বিদায় জানান, তাহলে দীর্ঘ এক যুগের পরিসমাপ্তি ঘটবে। ২০১৪ থেকে ২০২২—ভারতের টেস্ট দলের নেতৃত্বে ছিলেন কোহলি।
নতুন টেস্ট চক্রের অধিনায়ক হিসেবে শুবমান গিলের নাম শোনা যাচ্ছে জোরেশোরে। তবে কোহলি ও রোহিতের অনুপস্থিতিতে নতুন প্রজন্মের জন্য এটা বড় পরীক্ষার মঞ্চ।
যদিও কোহলির বিদায়ের ঘোষণা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে জানা যায়নি। বোর্ডের অনুরোধে অন্তত এক সিরিজের জন্য কোহলি টেস্ট আঙিনায় ফেরেন কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
সূত্র: যুগান্তর