সরকারী প্রজ্ঞাপনের তোয়াক্কা না করে অন্যান্য সাপ্তাহিক ছুটির মত ১৭ মে শনিবার, স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছিল হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ভাতুড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১৭ ও ২৪ মে শনিবার খোলা রাখার নির্দেশ জারি করে সরকার।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ঈদুল আযহার বন্ধ উপলক্ষে ক্ষতি পুষাতে এই দ্ইু শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন বিদ্যালয় খোলা রেখে পাঠদান করাতে করার নির্দেশনা জারি করে। এই দিনে কোন ভাবেই নিজেদের সিদ্ধান্তে বিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করতে পারবে না।
অথচ বাস্তব চিত্র ভিন্ন শনিবার বেলা ১২টায় সরেজমিনে হরিনাকুণ্ডু উপজেলার কাপাশহাটীয়া ইউনিয়নের ভাতুড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের প্রতিটি রুমে তালা বন্ধ। বিদ্যালয়ের মাঠে কিম্বা শ্রেণিকক্ষে কোনো শিক্ষক-শিক্ষার্থী নেই, নেই কোনো শিক্ষা কার্যক্রমের নমুনা। আশপাশের কয়েকজন গ্রামবাসীর নিকট জানতে চাইলে তারা বলেন সকালের দিকে কয়েকজন শিক্ষককে দেখেছিলাম প্রাইভেট পড়াতে পরে আর কোন শিক্ষক বা ছাত্র-ছাত্রীদের দেখা যায়নি। আজ স্কুলে ক্লাস হয়নি বলে জানান প্রতিবেশি নুরুল ইসলাম।
এই অবস্থায় এলাকাবাসীর কাছে প্রশ্ন উঠেছে কেন তারা সরকারি নির্দেশণা অমান্য করে বিদ্যালয়টি বন্ধ রেখেছে, এর দায়ভার কে নেবে? শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ক্ষতিই বা পূরণ করবে কিভাবে?
স্থানীয় অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তাদের মনে করেণ, এ ধরনের দায়িত্বহীনতা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষককে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
এবিষয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক কাজী ইউনুচ আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্দেশনাটি আমাদের বুঝতে ভুল হয়েছে, আমনা ভেবেছি প্রতিষ্ঠানের অফিস খোলা থাকবে সে অনুপাতে অফিস সাড়ে ১২টা পর্যন্ত খোলা ছিল কোন ছাত্র-ছাত্রী না আসায় অফিস সহকারী ও কয়েকজন শিক্ষক বিদ্যালয়ের অফিস বন্ধ করে বাড়িতে চলে যায়, আগামী শনিবারে আর এমন ভুল হবেনা ঠিক হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে হরিনাকুণ্ডু উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আঃ বারীর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্কুলের কার্যক্রম ১০ থেকে ৪টা পর্যন্ত চালু রাখার কথা কোন প্রতিষ্ঠান যদি এটা না করে তাহলে তাদেও বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ভাতুড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৭ মে শনিবার ক্লাস বন্ধ রাখার ব্যাপারে তিনি বলেন প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্ধ শোকজসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।