শাহজালাল বিমানবন্দর হবে দক্ষিণ এশিয়ার কেন্দ্রবিন্দু

বাংলাদেশকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় বিমান পরিবহনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তুলতে নির্মাণ করা হচ্ছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল। সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালিত সাড়ে ২১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের এই টার্মিনালে আন্তর্জাতিক মানের সব সেবা পাবেন যাত্রীরা। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে ১০ শতাংশ কাজ।

বিশ্বের শীর্ষ ১০ বিমানবন্দরের মধ্যে সবচেয়ে সেরা সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দর। সাগরের কোলঘেঁষে নান্দনিক শৈলীতে নির্মিত এই বিমানবন্দরটি আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা ও সেবা দিয়ে প্রথম স্থান ধরে রেখেছে টানা ৮ বছর।

ভৌগোলিকভাবে আকাশপথে যোগাযোগে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকায় এই সুযোগ লুফে নিতে চায় বাংলাদেশ। চাঙ্গি বিমানবন্দরের মতো আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জন্য নির্মাণ হচ্ছে তৃতীয় টার্মিনাল।

বিমানবন্দরের দক্ষিণ-পূর্ব পাশে সাড়ে তিন হাজার একর জমির ওপর দেড় হাজার শ্রমিকের শ্রমে দ্রুতগতিতে চলছে এই মেগা প্রকল্পের কাজ। পদ্ম ফুলের আদলে করা এই টার্মিনালের নকশাও করেছেন সিঙ্গাপুরের সিপিজি করপোরেশন লিমিটেডের খ্যাতিমান স্থপতি রোহানি বাহারিন।

আন্তর্জাতিক মানের এই টার্মিনালে প্রথম ধাপে থাকবে ১২টি বোডিং ব্রিজ। এখন যেখানে আছে আটটি। ১৬টি লাগেজ বেল্ট, বহুতল কার পার্কিং, উড়োজাহাজ রাখার ৩৫টি পার্কিং বে ও আমদনি-রফতানির জন্য পৃথক কার্গো ভিলেজসহ ছাড়াও দ্বিতীয় ধাপে নির্মাণ করা হবে আরেকটি রানওয়ে। শিগগির শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অত্যাধুনিক এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ও রাডার বসবে।

কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশা সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালিত ততৃীয় টার্মিনাল চালু হলে পাল্টে যাবে শাহজালাল বিমানবন্দরের চেহারা।

ভৌগোলিক কারণে সময় ও খরচ লাগায় শুধু উত্তর-দক্ষিণ নয় পূর্ব-পশ্চিমের দেশগুলোর বিমান ওঠানামার কেন্দ্র হয়ে উঠবে এ বিমানবন্দর।

সিভিল অ্যাভিয়েশন সদস্য ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুরেশনের গ্রুপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী জিয়াউল কবির বলেন, প্যাসেঞ্জার যখন যাতায়াত করবেন, তিনি একটু কম খরচে যাতায়াত করতে চাইবেন, ভালো কানেক্টিভিটি চাইবেন। আমাদের ইস্ট-ওয়েস্ট এবং নর্থ-সাউথে কানেক্টিভিটিতে কম সময় লাগবে।

৫৩টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের আকাশ সেবা চুক্তি থাকলেও বর্তমানে ২৩টি দেশের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট চলে। তৃতীয় টর্মিনাল চালু হলে শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে বছরে দুই কোটি যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। আর প্রায় আড়াই লাখ বিমান ওঠানামা করবে এই বিমানবন্দরে।