শৈলকুপায় চাকুরী দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারক চক্র

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সেনাবাহিনীতে চাকুরী দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এক প্রতারক চক্র।

এই চক্রটি ঝিনাইদহের শৈলকুপা, মাগুরার শ্রীপুর, কুষ্টিয়ার খোকসা ও রাজবাড়ির পাংশা উপজেলার সাধারণ নিরীহ মানুষের সেনাবাহিনীতে চাকুরী দেওয়ার নাম করে নগদ টাকা আবার কখনো চেক, ষ্ট্যাম্পে সই নিয়ে জিম্মি করে অভিনব কায়দায় হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।

শৈলকুপা উপজেলার চর বাখরবা গ্রামের শরিফুল ইসলাম জানান, তার ছেলে বাধনের সেনাবাহিনীতে চাকুরী দেওয়ার নাম করে গত ৮ মাস আগে শৈলকুপা উপজেলার গোয়ালবাড়িয়া গ্রামের সুরুজ আলির ছেলে গিয়াস উদ্দিন (তারা) স্ট্যাম্প ও চেক নিয়ে তার সহযোগী শৈলকুপা উপজেলার চর ডাউটিয়া গ্রামের সিরাজ জোয়ার্দারের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছে দেয়।

এছাড়াও এই চক্রের সাথে জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রাশিদা বেগম, একই গ্রামের মজিবর মুন্সির ছেলে আসানে ও তার স্ত্রী মোছাঃ কনা খাতুন এবং শ্রীপুর উপজেলার খড়িবাড়িয়া গ্রামের মৃত বারিক শেখের ছেলে আক্তার শেখ জড়িত।

এর পর চাকুরী দিতে না পারলে আমি চেক ও স্ট্যাম্প ফেরৎ চায়। এখন এই প্রতারক চক্রটি আমার চেক ও স্ট্যাম্প ফেরৎ না দিয়ে উল্টো আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

.এই চক্রের সদস্য গিয়াস উদ্দিন (তারা) বলেন, আমি চেক ও স্ট্যাম্প শরিফুল ইসলামের কাছ থেকে নিয়ে জাহাঙ্গীরের কাছে দিই। এখন জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী কেন যে চেক ও স্ট্যাম্প ফেরত দিচ্ছে না তা আমি বলতে পারছি না।

তিনি আরো বলেন, চাকুরী যেহেতু দিতে পারিনি তাই অনেক আগেই চেক ও স্ট্যাম্প ফেরৎ দেওয়ার কথা ছিল।

এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমার গ্রামের আসানে ও গোয়ালবাড়ি গ্রামের গিয়াসউদ্দিন তারা ও আমার স্ত্রী রাশিদা বেগমের সাথে শলাপরামর্শ করে এই কাজ করেছে। আমি এর সাথে জড়িত না। পুরো এই নাটকের সাথে জড়িত গিয়াস উদ্দিন ও আমার স্ত্রীসহ ৪/৫ জন, আমার কাছে কোন স্ট্যাম্প ও চেক নেই। আপনারা চাপ দিলে চেক স্ট্যাম্প দিয়ে দিবে।

শুধু শরিফুল ইসলামই না এমন অনেক পরিবারের সাথে প্রতারণা করে আসছে এই প্রতারক চক্রটি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেছেন, গোয়ালবাড়িয়ার গিয়াস উদ্দিন ও চর ডাউটিয়ার জাহাংগীর হোসেন ও তার স্ত্রী সেনাবাহিনীতে চাকুরী দেওয়ার নাম করে এক ভয়াবহ সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে, এলাকায়। আর এই সিন্ডিকেটের পাল্লায় পড়ে অনেক পরিবারই নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে।

তাই এলাকাবাসি প্রশাসনের কাছে দাবী অতি স্বত্তর এই প্রতারক চক্রটিকে ধরে আইনের আওতায় আনা হোক। সুষ্ঠু তদন্ত হলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে।