শৈলকুপায় নৌকা প্রার্থী শেফালী বেগম বিজয়ী

বিস্তর ব্যবধানে বিজয়ের উল্লাসে জনস্রোতে ভাসছে শৈলকুপা। ২ লাখ ৮৮ হাজার ২৫৪ ভোটের মধ্যে নৌকার দলীয় প্রার্থী শেফালী বেগম ১ লাখ ৮৮ হাজার ৮’শ ১৬ ভোট পেয়েছেন। তিনি বিস্তর ব্যবধানে বিএনপি দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এ্যাড. হুমায়ুন বাবর ফিরোজকে পরাজিত করেছেন। বেসরকারীভাবে শেফালী বেগমকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
গত বছর ৪ নভেম্বর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও (আমৃত্যু) উপজেলা চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন এর মৃত্যুতে চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হয়। শুরু হয় নতুন গুঞ্জন, কে পাচ্ছেন দলীয় টিকিট ? ১০ হেভিওয়েট প্রার্থীর লবিং গ্রুপিং আর প্রতিযোগিতার সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে কাঙ্খিত নৌকা প্রতীক লাভ করেন প্রয়াত বীরমুক্তিযোদ্ধা সোনা শিকদার পত্মী শেফালী বেগম। পৌরসভাসহ উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের ২ লাখ ৮৮ হাজার ২৫৪ জন ভোটার নিয়ে শুরু হয়েছে উপ-নির্বাচন। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের বিপরীতে ধানের শীষ নিয়ে বিএনপি দলীয় প্রার্থী সাবেক ছাত্রনেতা থানা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক এ্যাড. হুমায়ন বাবর ফিরোজ ধানের শীষ প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৪৪৫২। এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী আনিচুর রহমান আনারস প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১৯৭৫ ভোট।
অপরদিকে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হুমায়ুন বাবর ফিরোজ বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। তিনি তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি ও সাংবাদিকদের মোবাইল ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এছাড়াও নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাগণ তার কোন অভিযোগ আমলে নেয়নি এবং প্রশাসনিক সহযোগীতা করেনি বলে মন্তব্য করেন। একই সাথে গত পৌরসভা নির্বাচনে ৮নং ওয়ার্ডের স্থগিত থাকা কাউন্সিলর পদে ৬৭৮ ভোট পেয়ে প্রাথমিকভাবে বিজয়ী হয়েছেন সাইফুল ইসলাম। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক কাউন্সিলর শওকত আলী ৫৬২ ভোট পেয়েছেন। উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জুয়েল আহম্মেদ জানান, ১২০টি কেন্দ্রে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। কোন প্রার্থী নির্বাচন সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ জানায়নি। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে তারা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।