
সড়কে গাছ ফেলে কোটচাঁদপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। গতকালসোমবার রাতে উপজেলার রামচন্দ্রপুর-লক্ষীকুণ্ড গ্রামের সড়কে এ ছিনতাই হয়।
ভুক্তভোগী মেহের মালিতা বলেন, আমার ছেলের ছেলে মিনহাজ (৩) কে নিয়ে যশোর গিয়েছিলাম ডাক্তার দেখাতে। এ সময় আমার সঙ্গে ছিল ছেলের বউ তামান্না খাতুন, বেয়াই ফারুক হোসেন। আর আমাদেরকে এগিয়ে নিতে কোটচাঁদপুর গিয়েছিল আমার ভাই মোগরব মালিতা, ভায়েরা মিঠু মালিতা, ভ্যানচালক রেজাউল ইসলাম ও হাসান আলী। এ ছাড়া ছিলেন আমাদের গ্রামের হায়দার মিস্ত্রি।
তিনি আরও বলেন, তখন রাত ১১টা ৫০ মিনিট। কোটচাঁদপুর থেকে আমরা রওনা দিই। পথিমধ্যে রামচন্দ্রপুর-লক্ষীকুণ্ড গ্রামের সড়কের চামতলা মাঠে পৌঁছালে সড়কের উপর গাছ পড়ে থাকতে দেখি। এ সময় গাড়ির গতি রোধ করতেই বাগানের মধ্য থেকে ৫/৬ জন দা হাতে বেরিয়ে আসে। এরপর বউমা আর নাতি ছেলেকে ছাড়া আমাদের সবাইকে বেঁধে রেখে নগদ ১৫ হাজার টাকা, দুটি কানের দুল ছিনিয়ে নেয়।
পরে অপেক্ষা করে পথচারী আসার। কিছুক্ষণ পরে বলরামপুরের সেলিম রেজা ও সুমন নামের দুই ব্যক্তি ঘটনাস্থলে আসেন। তাদের কাছ থেকেও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে আমাদের সবাইকে ছেড়ে দেয়।
তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা ভয়ে থানায় কোনো অভিযোগ করিনি। তবে জানতে পেরেছি ঘটনাটি নিয়ে সেলিম রেজা থানায় অভিযোগ করেছেন।
সেলিম রেজা বলেন, ওই সময় ব্যবসার কাজ শেষ করে মোটরসাইকেলযোগে কোটচাঁদপুর শহর থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। পথিমধ্যে আমাকে আটকে রেখে নগদ ৫০ হাজার ৩শ’ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ বিষয়ে আমি থানায় অভিযোগ করেছি।
এ ব্যাপারে সাবদারপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমার জানা নেই। আর ওই এলাকা আমার দায়িত্বভুক্ত নয়। আমি গেল রাতে কুশকুড়ি মাঠে ডিউটিতে ছিলাম।
কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, ঘটনাটি আমি জেনেছি। এ ঘটনায় সেলিম নামের একজন থানায় অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, এটি কোনো ছিনতাই বা ডাকাতির ঘটনা নয়, একে দস্যুতা বলা যায়। আর এর আগে যে ঘটনা ঘটেছিল, সে ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।

 
								
				

 
												