সবুজে বেষ্টিত অপার সম্ভাবনা হরিণাকুণ্ডু

ধান আর পান হরিণাকুণ্ডুর প্রাণ। কথায় আছে মাছে ভাতে বাঙ্গালী। লাল সবুজের বুকে বেড়ে উঠা সবুজের সমারহ। নান্দনিকতায় বিস্তীর্ণ্য সোনালী সবুজে বেষ্টিত এ উপজেলা। আরও আছে হাওড় বাওড় নদী নালার লালনের চরণ ভূমি। বলছি লতায় ডগায় মুড়ানো প্রাচুর্যে ভরপুর সমৃদ্ধ শ্যামলী শস্য ভাণ্ডার ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কথা।
এই উপজেলাটি বাংলাদেশের তৎকালীন রাজধানী মুজিবনগরের পার্শ্ববর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলার নিকটবর্তি ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলা। এই জনপদে অঞ্চলিক ভাষাভাষী আর ভিন্ন ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের এক অপুর্ব সূতিকাগার। প্রাকৃতিক স্নিগ্ধতায় সিক্ত এই এলাকার জনজীবনও তেমনই সৌহার্দ্যপূর্ণ ও আবেগী মমতায় ভরপুর। বলাই বাহুল্য হরিণাকুণ্ডুর প্রকৃতি এক জীবন্তু জাদুঘর। বাঘাযতীন, লালনশাহের জনপদে আছে ধান পান মাছ এবং হাওড় বাওড় যেন পুরা বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। পর্যাটনে বিপুল সম্ভাবনার হরিণাকুণ্ডু উপজেলা। এ উপজেলার অনেক স্থানে অনাদরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অনেক দর্শণীয় স্থান।

তাই হাটি হাটি পা পা করে এসব দৃশ্যেরিই দেখা মিলবে যদি যান দেশের দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গের জনপদ হরিণাকুণ্ডুতে। এছাড়াও এ এলাকার দর্শণীয় স্থানগুলোর মধ্যে মরমী কবি বাউল লালনশাহ এর শৈশবে কাটানো সেই বসতভিটা। উপজেলার সোনাতনপুর, কাপাশহাটীয়া,চাঁদপুর, নারায়নকান্দী বাওড় এখন বছরের যে কোনো সময়ে আনন্দ ভ্রমণ, পিকনিক বা বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজন নিয়ে বেড়ানোর এক মনোমুগ্ধকর স্থান। তবে এখনো অচেনা এই সম্ভাবনাময় জনপদটি জনগনের কাছে অজানায় রয়ে গেছে।এখানে আসলেই দেখতে পাবেন আঁকাবাঁকা মেঠো পথে প্রান্তরে সবুজের সমারোহ নাকের ডগায় এসে লুটোপুটি খাবে সবুজ পাতার নির্মল সু-গন্ধ। মূহুর্তেই স্বতেজ করে তুলবে এই জনপদের সুবাস।বিমোহিত হয়ে হারিয়ে যাবেন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে।

ছবির মতো এই মনোরম দৃশ্যে আপনাকে বিলিয়ে দেবে এক নৈস্বর্গিক স্বপ্নঘোরে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হাওড়, বাওড় , নীলকুঠী, বাঘাযতীনের বসতভিটা ,লালনভূমি, সিরাজ সাইর মাজার, ফকির মাহমুদ বিশ্বাসের মাজার বাগান বাড়ি , পাঞ্জু শাহের মাজার আরও আকর্ষণীয়ভাবে পর্যাটকদের জন্য উপযোগী করে গড়ে তোলা সম্ভব। স্থানীয় বাসিন্দা ও সাংবাদিক হরিণাকুণ্ডু প্রসক্লাবের সহ-সভাপতি সাইফুর রহমান (বাদল) জানান, বলাই বাহুল্য যে, অপরুপ সৌন্দর্যময় লিলা ভূমিতে দাঁড়িয়ে আছে এলোমেলো দর্শণীয় স্থান সমূহ । চমৎকার দৃষ্টি নন্দনী দেখতে আসলে চোখ জুড়িয়ে যাবে।

যেমন খ্যাতি বাড়বে এই উপজেলার, তেমনই বাড়বে বৈদেশিক মুদ্রার।হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা নাফিস সুলতানা “গণমাধ্যমকে জানান, হরিণাকুণ্ডুতে বিভিন্ন স্বনামধন্য ব্যাক্তিদের চারণভূমি। এছাড়া এখানে ধান, পান, কলাসহ, দৃষ্টি নন্দন প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশ বেষ্টিত বাওড় আছে।আরও আছে মনমুগদ্ধকর সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা। হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পর্যাটনের জন্য ভালো একটি স্পট।সেলক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।ইতিমধ্যে বিপ্লবী বাঘাযতীনের ম্যুরাল স্থাপিত হয়েছে।সেখানে একটি একাডেমীক ভবন সহ লাইব্রেরী এবং জাদুঘর তৈরির করার কাজ নিকটেই শুরু করতে যাচ্ছি।