সভাপতি সাধারন সম্পাদকসহ প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ

কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারি ইউনিয়ন নির্বাচন আর মাত্র ব মাত্র ৬ দিন বাকি। নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে প্রার্থীদের ঘুম হারাম হয়ে আসছে।এবারের নির্বাচনে শ্রমিকরা গুন্জন ছড়াচ্ছে যারা ক্ষমতায় আছে তারাই থাকবে।

এবারের নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক সহ ৯টি পদের বিপরীতে মনোনয়ন সংগ্রহ করছে একাধিক প্রার্থী।শনিবার নির্বাচন পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক প্রার্থীদের মধ্যে মনোনয়নপত্রের ফরম সরবরাহ, মনোনয়নপত্রের ফরম দাখিল, মনোনয়নপত্র যাচাই- বাছাই শেষে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
আগামী ৪ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হবে ভোট গ্রহণ।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। ২৮ জানুয়ারি শনিবার সকাল ১০ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত মনোনয়ন পত্রের ফরম সরবরাহ করা, দুপুর ১টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র দাখিল, ৩ টা থেকে ৬ টা পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র বাছাই ও প্রতিক নির্ধারণ রাত ৮ টা পর্যন্ত প্রার্থী পদ পত্যাহারের শেষ সময় বেধে দেয় নির্বাচন কমিটি।

কেরু’র শ্রমিক ও কর্মচারি ইউনিয়ন নির্বাচনের চেয়ারম্যান কেরুর মহাব্যাবস্হাপক অর্থ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাক্ষরিত প্রতিক বরাদ্দ দেন।

এবারের নির্বাচনে যারা প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন তাদের প্রতিক হচ্ছে সভাপতি পদপ্রার্থী ফিরোজ আহাম্মেদ সবুজ পেয়েছেন ছাতা প্রতিক, তৈয়ব আলী পেয়েছেন সাইকেল, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মাসুদুর রহমান মাসুদ পেয়েছেন চাঁদতারা, মনিরুল ইসলাম পিন্স আনারস, জয়নাল আবেদীন নফর হারিকেন, সহ-সভাপতি এসএম কবির পেয়েছেন কলস, আনিসুর রহমান গরুর গাড়ি, রেজাউল করিম টেবিল, মফিজুল ইসলাম তালাচাবি, সহ-সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান পেয়েছেন চেয়ার, খবির উদ্দিন আম, হাফিজুর রহমান হাস, মহিদুল ইসলাম হাতপাখা, আতিয়ার রহমান মাছ, দপ্তর সম্পাদক পদে সালাউদ্দিন সনেট পেয়েছেন উড়োজাহাজ, আবুল হোসেন হরিণ, প্রচার সম্পাদক পদে পেয়েছেন ইয়াসির আরাফাত কুুঁড়েঘর, মিজানুর রহমান মোরগ, আব্দুল কুদ্দুস মোবাইল ফোন, কোষাধ্যক্ষ খন্দকার কায়েশ আব্দুল্লা পেয়েছেন রিকসা, আবু সাঈদ পেয়েছেন কাঠাল।

সদস্যদের মধ্যে ১ নং ওয়ার্ডে সেলিম খান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন, ২ নং ওয়ার্ডের বাবর আলী পেয়েছেন বেলচা,আব্বাস আলী বালতি, আমিনুল ইসলাম ডাব, ৩ নং ওয়ার্ডের বাবুল আক্তার পেয়েছেন গোলটুপি, জাহিদুল ইসলাম ডাব, মোজহারুল হাতুড়ি, শরিফুল ইসলাম টর্চ লাইট, শফিকুল ইসলাম আখের আটি ৪ নং ওয়ার্ডের মতিয়ার রহমান পেয়েছেন ডাব, কামরুল হাসান আখের আটি, মাহামুনুল হাসান টর্চ লাইট, ৫ নং ওয়ার্ডের সাইফুদ্দিন সুমন পেয়েছেন ডাব, সাহেব আলী শিকদার টর্চলাইট, মোহাম্মদ হারিজুল ইসলাম আখের আটি, ৬ নং ওয়ার্ডে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় ৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন তাদের প্রতিক হয়েছিলো মাজেদুল ইসলাম ডাবলু আখের আটি, নুরুল ইসলাম বেলচা, মজিবর রহমান ডাব। ৭ নং ওয়ার্ডের জাহিদুল ইসলাম পেয়েছেন গাভী, জাহিরুল ইসলাম বালতি, ইদ্রিস আলী ডাব, রবিউল ইসলাম বেলচা, আজাদ আলী হাতুড়ি তারাপদ বিশ্বাস আখের আটি।

প্রতিক পেয়ে প্রার্থীরা ভোট প্রার্থনায় ছুটছেন রাত দিন। বিরামহীন ঠিকটাক চলছে তাদের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা। প্রতিদিনই দফায় দফায় প্রার্থীদের পক্ষে চলছে ভোট প্রার্থনা। প্রার্থী নিজে কিংবা তার স্বপক্ষে লোকজন রাত দিন যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। তুলে ধরছেন নিজ পছন্দের প্রার্থীর যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা। কুশল বিনিময় আর সালাম আদাব জানিয়ে চাইছেন তাদের মূল্যবান ভোট । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ভোটারদের কাছে করছেন ভোটের আবেদন নিবেদন। প্রার্থীর পক্ষে প্রচরণায় মাঠে আছেন একাধীক কর্মীরাও। নিজদের পক্ষে ভোট টানতে কাজে লাগানো হচ্ছে ভোটারদের আত্বীয় স্বজনকে। আত্বীয়তার সম্পর্কে তারা ভোট চাইছেন নিজেদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে। ভোট যুদ্ধে বিজয়ী হতে চালানো হচ্ছে নানা কৌশল। শ্রমিক ও কর্মচারিদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন সভাপতি সাধারণ সম্পাদক সহ অনান্য পদ ও সদস্যরা। অন্য ভোটের চেয়ে ব্যাতিক্রম এই ভোটে কেরুজ আঙিনা সব সময় থাকে সরগরম।

প্রার্থীদের ব্যাপক প্রচারণায় অনেকটা জমে উঠেছে নির্বাচনী আমেজ। আর হাতে মাত্র ছয় দিন। ভোটের দিন ঘনিয়ে আসায় প্রার্থীদের প্রচারণার কাজে রাত দিন একাকার। কাটছে র্নিঘুম রাত। ফুরসদ নেই দিনেও। এখন প্রার্থীদের একটাই লক্ষ্য যে ভাবেই হউক ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে শেষ মুর্হুতে তাদের মনজয় করে মূল্যবান ভোট নিজেদের ভাগে আনা। ভোট যুদ্ধের বৈতরণী পার হতে প্রার্থীদের পক্ষ থেকে চলছে নানা কলা কৌশল। দিচ্ছেন নানা উন্নয়ন প্রতিশ্রুতি। তবে ভোটাররা শ্রমিক কর্মচারি হওয়ায় তারাও অধিক সচেতন। যোগ্য প্রার্থীদের বেচে নিয়েই ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে । তবে কিছু চালাক ও সচেতন ভোটারা কোন প্রার্থীর পক্ষেও মুখও খুলছেন না সহজেই। নিজ দল বা নিকটজন না হলে প্রার্থীর পক্ষে মাঠে সরাসরি ভোট চাইতেও নামছেন তারা। ভোটের মাঠে প্রার্থীরা সরব হলেও সেসব ভোটাররা রয়েছেন নিরব। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা ব্যাপক প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত থাকলেও বসে নেই সদস্য প্রার্থীরাও।

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর তুলনায় সদস্য প্রার্থীদের নির্বাচনী এলাকার আয়তন ও ভোটার কম হলেও তাদের মত তারাও হরদম ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। প্রত্যাশা ভোটারদের মন জয় করে তাদের কাঙ্খিত রায় পাওয়ার। আসন্ন কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারি ইউনিয়ন নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ২ (দুই)জন প্রার্থী ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৩(তিন) জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।যতই দিন গড়াচ্ছে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে। এদিকে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মসুদুর রহমান মাসুদের পক্ষে গণজাগরণ সৃস্টির লক্ষে শুরু হয়েছে ব্যাপক প্রচারণা। কর্মিরা দিনরাত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করছে। ভোটাররা প্রতিদিনই কেউ কেউ যোগদান করছে মাসুদ সংগঠনে।

অপরদিকে মাসুদুর রহমান মাসুদ দুবছর ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে শ্রমিক ও কর্মচারিদের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। সেজন্যই আস্থাভাজন হয়ে উঠেছে শ্রমিক-কর্মচারিদের কাছে। যার ফলশ্রুতিতে সঠিক নেতৃত্ব বেচে নেবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মাসুদুর রহমান মাসুদ। এবিষয়ে আশাবুল হক মুক্ত জোয়াদ্দার ও নজরুল ইসলাম বিশ্বাস হিরক ও সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী এসএম কবির দিনরাত পরিশ্রম করে জয়ের মালা নিয়ে ঘরে ফিরবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন । এ নির্বাচনে চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি মোট ভোটার সংখ্যা ১১৮৭।

ফেব্রুয়ারি ৪ তারিখে কেরুজ নতুন হাই স্কুলে গোপন ব্যালোটের মাধ্যমে ভোট গ্রহন হবে সকাল ৮ টা থেকে বিরতীহিনভাবে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত। চিনিকলের হিসাব, প্রসাশন ভান্ডার, স্বাস্থ্য বিধান, ইমারত, সেনিটেশন, হাসপাতাল, চোলাই মদ কারখানা, ডিস্টিলারী, বিদ্যুত ও কারখানা, প্রকৌশলী, পরিবহন, ইক্ষু উন্নয়ন, ইক্ষু সংগ্রহ বিভাগ সহ বানিজ্যিক খামার গুলোর শ্রমিক-কর্মচারিদের নিয়ে সর্বমোট ভোটার সংখ্যা গত নির্বাচনে ছিলো ১০৮৮ এবার বেড়ে হয়েছে ১১ ৮৭।