
মেহেরপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মোঃ মোতাছিম বিল্লাহ মতুর দায়ের করা চাঁদাবাজি ও মানহানির মামলায় আইনজীবীসহ চারজন জামিন পেয়েছেন।
গতকাল রবিবার মেহেরপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাঃ নাসির উদ্দিনের আদালতে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। জামিন পাওয়া চারজন হলেন আইনজীবী অ্যাড. মিজানুর রহমান, কসারীপাড়ার মৃত আছাব আলীর ছেলে মোঃ মহব্বত, বন্দর গ্রামের মৃত নূর আলীর ছেলে মোঃ ঝন্টু এবং পুরাতন পোস্ট অফিসপাড়ার মৃত তমাল খাঁর ছেলে মোঃ মিঠন।
মামলায় আসামি পক্ষের হয়ে আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন সেলিম রেজা কল্লোল।
জানা গেছে, দুই নম্বর আসামি মোঃ মহব্বত বাদী হয়ে মামলার এজাহারকারী মোতাছিম বিল্লাহ নতুন নামে ২০০৭ সালে জি.আর-১০৪/২০০৭ (মেহেরপুর থানার মামলা নম্বর: ১০, তারিখ: ১০/৬/২০০৭ ইং) মামলা দায়ের করেছিলেন। যা খুলনা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২৭, ২০০৭ নং মামলা হিসেবে বিচারাধীন আছে।
উক্ত মামলায় মোতাছিম বিল্লাহ মতু জেল হাজতে আটক ছিলেন এবং বর্তমানে জামিনে আছেন। মামলাটি চলমান আছে এবং আগামী ১৪-১০-২৫ ইং তারিখে চার্জ গঠনের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
ওই মামলা থেকে রেহাই পেতে মোতাছিম বিল্লাহ মতু উক্ত মামলার সাক্ষী ও বাদীকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন এবং হয়রানির উদ্দেশ্যে বর্তমান এই মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদীর অভিযোগ ছিল, গত ২৫ বছর ধরে মেয়রসহ বিভিন্ন পদে জন প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়ে রাজনৈতিকভাবে নানা দলের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে দায়িত্ব পালন করেছি। দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে এক শ্রেণির লোক আমাকে নানা উপায়ে হয়রানির চেষ্টা চালিয়ে আসছে।
গত ২ জুন সকাল ১১টার দিকে জেলা জজ আদালত থেকে ফেরার পথে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে স্টেডিয়াম পাড়ার মোঃ শাহাবুদ্দীনের ছেলে মিজানুর রহমান মিজান (৩৮), কসারীপাড়ার মৃত আছাব আলীর ছেলে মোঃ মহব্বত, বন্দর গ্রামের মৃত নূর আলীর ছেলে মোঃ ঝন্টু এবং পুরাতন পোস্ট অফিসপাড়ার মৃত তমাল খাঁর ছেলে মোঃ মিঠন পথরোধ করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।
চাঁদা না দিলে ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের মদদদাতা’ ও ‘জামায়াত নেতা তারিক হত্যা মামলায় আসামি বানিয়ে মৃত্যুদণ্ড দাবি করা হবে’ বলে হুমকি দেওয়া হয়। পরে গত ৬ জুলাই সকালে শহরের বিভিন্ন স্থানে মেয়র মোতাছিম বিল্লাহ মতুর বিকৃত ছবি ব্যবহার করে অপমানজনক পোস্টার সাঁটানো হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
সিসিটিভি ফুটেজে কয়েকজনকে পোস্টার সাঁটাতে দেখা যায় এবং তারা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, ১নং আসামি মিজানুর রহমান মিজানের নির্দেশে তারা কাজ করেছে।