সুযোগ পেলে মেহেরপুরকে বেকারমুক্ত করে গড়ে তুলবো — জয়নাল আবেদীন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূতিকাগার মুজিবনগরখ্যাত মেহেরপুর। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল প্রথম সরকারের শপথের মধ্যে দিয়ে যার নামকরণ করা হয় বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী। সেকারনে মেহেরপুর জেলার রাজনীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

স্বাধীনতার পর এই জেলায় প্রথম একজন প্রতিমন্ত্রী দিয়েছেন বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়ে ফরহাদ হোসেন জেলার উন্নয়নে কতটুকু ভূমিকা রাখতে পেরেছেন, জেলার রাজনীতি ও আগামী নির্বাচনের মনোনয়নসহ নানা বিষয়ে আমরা কথা বলেছি মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীনের সাথে। সাক্ষাতকার নিয়েছেন মেহেরপুর প্রতিদিনের বার্তা সম্পাদক জুলফিকার আলী কানন।

মেহেরপুর প্রতিদিন : মেহেরপুর প্রতিদিনের পাঠকদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও সালাম, কেমন আছেন ?
জয়নাল আবেদীন : ভাল আছি। মেহেরপুর প্রতিদিনের সাথে জড়িত সম্পাদক, কলাকুশলীসহ সবাইকে শুভেচ্ছা। সেই সাথে এই পত্রিকার পাঠক ও জেলাবাসিকে সালাম, শুভেচ্ছা।

মেহেরপুর প্রতিদিন: কবে থেকে রাজনীতিতে এসেছেন?
জয়নাল আবেদীন : ১৯৬৯ সালে আমি যখন এসএসসি পরীক্ষা দেবো এমন একটি সময়ে আমার রাজনীতিতে অভিষেক হয়েছিল।

মেহেরপুর প্রতিদিন: আপনাকে রাজনীতিতে আনার পেছনে কাদের অবদান ছিল?
জয়নাল আবেদীন : ইসমাইল হোসেন, আকম ইদ্রিস আলী, একে আশকারী পটল, সাহাবাজ উদ্দীন লিজ্জু ও তাদের সাথে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে  হাদি, নোমান ও পিয়াস নামের তিন ছাত্র বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা এবং ছাত্রলীগের ১১ দফা এলাকার মানুষের মাঝে প্রচার করতে এসেছিলেন। তখন দেশে গণঅভ্যূথান চলছে। বঙ্গবন্ধু আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় জেলে। তাদের সাথে সকাল বিকাল গ্রামের মধ্যে অন্যান্য মানুষের মত আমিও শুনতে শুনতে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আমাকে বঙ্গবন্ধুর দল করতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে মনের অজান্তেই ভালবেসে সংগঠন করার জন্য প্রস্তুত হই। পরে তখনকার এমএনএ সহি উদ্দীনের হাত ধরেই আওয়ামী লীগে আসা।
মেহেরপুর প্রতিদিন: বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের পরাজয় হওয়া প্রসঙ্গে যদি বলতেন।
জয়নাল আবেদীন : মুজিবনগরই শুধু নয়, গাংনীতেও ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিতেছেন। গোটা জেলাতেই যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জিতেছেন তাদের ব্যাক্তিগত ইমেজের কারণেই জিতেছেন। তারপরেও আমরা চেষ্টা করেছি নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে।

মেহেরপুর প্রতিদিন: তাহলে কি মনে হয়না আপনারা জনপ্রিয় নেতাদের মনোনয়ন দিতে ব্যার্থ হয়েছেন ?
জয়নাল আবেদীন : এই প্রশ্নটা করা যাবেনা। কারণ এটা আপা (আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনা) দিয়েছেন। স্থানীয় সরকার নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি তিনি। আপা যেটা ভাল মনে করেছেন সেটাই দিয়েছেন। উনি যাকে মনোনয়ন দিয়েছেন আমরা তার সাথে কাজ করেছি।

মেহেরপুর প্রতিদিন: বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের বিপর্যয় কাটোনোর কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা ?
জয়নাল আবেদীন : আমাদের পরিকল্পনা হলো, তৃণমূলের নেতা কর্মীদের আমরা বারবার বলছি, আপনারা নেত্রী ও দলের সাথে থাকুন। আগামী ৫ বছর পর স্থানীয় নির্বাচনে যারা মনোয়ন চাবে তাদের মধ্যে থেকে বেটার ক্যান্ডিডেট নেত্রির কাছে সুপারিশ পাঠাবো।

মেহেরপুর প্রতিদিন: জেলায় আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে কোনো হতাশা বিরাজ করছে কি ?
জয়নাল আবেদীন : হতাশা বিরাজ করছে নিজ নিজ যায়গা থেকে। নেতা কর্মীদের হতাশা থাকার কথা না। কেননা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তিন ট্রাম দেশ চালাচ্ছেন। সব জেলাতেই কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে পাঠিয়ে পৌর, উপজেলা বা জেলা কাউন্সিল করছেন। কাউন্সিলে বিধি মোতাবেক কমিটি তৈরী হচ্ছে। কমিটি তৈরীর ক্ষেত্রে অনেকেই উত্তীর্ণ হচ্ছেন, অনেকেই হতে পারছেন না। সেই ক্ষেত্রে কেউ নিজে নিজে হতাশ হচ্ছেন। আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা জানেন কাকে সভাপতি ও সেক্রেটারী করলে দলটাকে ভাল চালানো যাবে। তবে কমিটি গঠনের সময় এমপি ও মন্ত্রীদের অ্যাভোয়েট করা গেলে ভাল হতো। স্থানীয় নেতা কর্মীর মাঝ থেকে কাউকে সভাপতি সেক্রেটারী ক রলে দলের জন্য ভাল হতে পারতো।
মেহেরপুর প্রতিদিন: প্রার্থীদের পরাজয়ে নেতাদের কোন্দল কতটুকু দায়ী?
জয়নাল আবেদীন : এখানে নেতা কর্মীরা কোনো ভাবেই দায়ী নন। যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের ব্যক্তি ইমেজেই বিজয়ী হয়েছেন।

মেহেরপুর প্রতিদিন: ইউপি নির্বাচনে যাঁরা জনপ্রিয় ছিলেন, তাঁদের মনোনয়ন দিতে না পারার কারনে কি এই পরাজয়?
জয়নাল আবেদীন : এক্ষেত্রে আমার মনে হয়েছে, যাঁরা জনপ্রিয় ছিলেন, তাঁদের আমরা সঠিক ভাবে বাছাই করে মনোনয়ন দিতে পারিনি।

মেহেরপুর প্রতিদিন: দল ক্ষমতায়, কিন্তু নেতা-কর্মীরা এখানে কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত নন। আপনী কি মনে করেন?
জয়নাল আবেদীন : আমার বক্তব্য হচ্ছে উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ত হওয়া না হওয়া নির্ভর করছে জেলার নেতৃবৃন্দের উপর। যারা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাবৃন্দ দায়ীত্ব পালন করছেন। তারা নেতা কর্মীদের ডাকবেন এবং উন্নয়ন কাজের সাথে সম্পৃক্ত করবেন। আগামী এক বছর পর জাতীয় নির্বাচন। দলের মধ্যে কোনো বিভাজন থাক সেটা আমি বা কারোর চাওয়া উচিৎ নয়।

মেহেরপুর প্রতিদিন: জেলা প্রশাসনের কোনো কর্মসূচীতে কোনো জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিককে দেখা যায়না। আপনী কি মনে করেন ?
জয়নাল আবেদীন : এটা আমার বলার কিছু নেই। এখানে মন্ত্রী বা এমপি উনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিও। উনি তিনটি দায়ীত্ব পালন করছেন এক সাথে। এটা নির্ভর করছে তার ইচ্ছা বা অনিচ্ছার উপরে। তবে তার উচিৎ নেতা কর্মীদের সাথে জেলা প্রশাসনের একটা সমন্বয় করে দেওয়া।

মেহেরপুর প্রতিদিন: প্রতিমন্ত্রীর সাথে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদের নেতা কর্মীদের সাথে দুরুত্ব সম্পৃক্ততাও কম। এ কারণে নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভর কারনে সংগঠন দূর্বল হয়ে উঠেছে কিনা?
জয়নাল আবেদীন : এক বছর পর জাতীয় নির্বাচন। সেই নির্বাচনের আগে আমরা সবাই ঐক্যমত হয়ে নির্বাচন করতে চাই। বিগত দিনের মত আমরা স্বচ্ছ, ফেয়ার নির্বাচন হোক এটাও আশা করি। দলের নেতা কর্মীদের মাঝে দুরুত্ব আছে বলে আমার মনে হয়না। তারপরেও চেয়ারটা যার কাছে থাকবে। দায়ীত্বের সেই যায়গায় ও গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে সবাইকে গুছিয়ে রাজনীতি করলে সবারই ভাল হয়। কারো কারো মধ্যে অনেক কষ্ট ও ক্ষোভ থাকতে পারে। সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে, আগামী দিনে এসব কিছু থাকবেনা। জাতীয় নির্বাচনে সবাই এক যায়গায় চলে আসবে। এটা নিয়ে কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবেনা।

মেহেরপুর প্রতিদিন: বিগত দিনে নেতা কর্মীদের পাশে ডাকছেন না, শেষ সময়ে তাদের ডাকলে পাশে আসবে কিনা ?
জয়নাল আবেদীন : এখনি এটা বোঝা যাবেনা। নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সভাপতি যাকে মনোনয়ন দেবেন। আমাদের উচিৎ হবে, সকলেই তার হয়ে কাজ করা। শেখ হাসিনাকে আবারো রাষ্ট্র ক্ষমতায় নিয়ে যাওয়া। কি পেলাম, আর কি বললাম সেটা বড় কথা নয়। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্ব দানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে আবারো রাষ্ট্র ক্ষমতায় নিয়ে যাওয়াই হবে প্রত্যাশা।

মেহেরপুর প্রতিদিন: সদ্য জেলা কাউন্সিল হওয়ার সময় এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত সেটি না হওয়ায় নেতা কর্মীদের মধ্য ক্ষোভ বা হতাশা বেড়েছে কিনা ?
জয়নাল আবেদীন : দলের যারা নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। দায়ীত্ব এখন তাদের। আমি আশা করি, অতি দ্রুতই জেলা কমিটি আলোর মুখ দেখতে পাবে।

মেহেরপুর প্রতিদিন: পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি না হওয়ার পিছনে কারণ কি বলে মনে করেন আপনী ?
জয়নাল আবেদীন : না হওয়ার পিছনে কোনো কারণ নেই। বিভিন্ন কর্মকান্ডের সাথে নেতা কর্মীরা জড়িয়ে আছেন। ইউপি নির্বাচন গেলো। সামনে জেলা পরিষদ নির্বাচনের ডামাডোল চলছে। এই পরিপেক্ষিত সবাই নিজ নিজ কাজে ব্যাস্ত। একটা সময় আসলে হয়তো কমিটি হয়ে যাবে। জেলা কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক যখন নির্ধারণ হয়ে গেছে, তখন বাকী পদগুলোও তাড়াতাড়ি পুরুণ হবে বলে আমার মনে হয়।

মেহেরপুর প্রতিদিন: মেহেরপুর জেলা কমিটির সাংগাঠনিক অবস্থান কি? বর্তমানে যারা নেতৃত্বে রয়েছেন দল গোছাতে কতটুকু সক্ষম?
জয়নাল আবেদীন : এখন তো কোনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। সভাপতি ও সম্পাদক বাদে আর কারো কোনো পদ নেই পদবী নেই। সাংগাঠনিক কার্মকান্ড এখন থাকার কথা না। এখন সাংগাঠনিক কর্মকান্ড যেটুকুই আছে সেটুকুই সভাপতি ও সম্পাদকের দায়ীত্ব।
মেহেরপুর প্রতিদিন: সার, ডিজেলসহ জালানি ও ভোজ্য তেল এবং দ্রব্যমুল্যের উর্দ্ধগতি জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব পড়বে কি?
জয়নাল আবেদীন : এতে নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বেনা। কারন, ইতোমধ্যে ডিজেলের দাম লিটারে ৫ টাকা কমিয়েছে। নির্বাচনের আগেই সবকিছু সহনশীল পর্যায়ে আসবে। প্রধানমন্ত্রী এদিক দিয়ে খুব শতর্ক। সাধারণ মানুষের যেটা ভাল হবে কল্যাণ হবে, সেই পদক্ষেপ তিনি গ্রহণ করছেন। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম একটা সময়ে কমে যাবে।

মেহেরপুর প্রতিদিন: জেলায় দিন দিন বেকারত্ব বাড়ছে। একজন মন্ত্রী রয়েছেন। বেকারত্ব দূরিকরণে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছেনা। এব্যাপারে আপনার কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা :
জয়নাল আবেদীন : আমি এমপি থাকা অবস্থায় ৮৯২ জনকে সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে চাকুরী পাইয়ে দিয়েছি। পরিকল্পনা ছিলো জেলায় ইপিজেড বানাবো, সেটিও অনুমোদন হয়ে পড়ে আছে। এখানে ইপিজেডটি স্থাপন করা গেলে সরকারি বা বেসরকারি ব্যাংকগুলো থেকে মাত্র ৫ শতাংশ সুদে টাকা দেওয়া যেতো। দেশী বিদেশী অনেক শিল্পকলকারখানা স্থাপিত হতো। জেলায় ২০ থেকে ৫০ হাজার বেকারের কর্মসংস্থান হতো। এটা বাস্তবায়িত হোক এটা আমি চাই। আমি মেহেরপুরের সংসদ সদস্য নির্বাাচিত হলে, মুজিবনগর অধ্যুষিত মেহেরপুরকে আগামী দিনে বেকারমুক্ত করে গড়ে তুলবো। বিশেষ করে অর্ধেক নারী ও পুরুষের সমন্বয়ে মেহেরপুরের মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। মুজিবনগর বাসিও এখন সেই প্রত্যাশায় আছেন।

মেহেরপুর প্রতিদিন: দ্বাদশ নির্বাচনে আপনী প্রার্থী হতে ইচ্ছুক?
জয়নাল আবেদীন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জেলার সাধারণ মানুষ চাইলে অবশ্যই আমি সামনের নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক। আমাকে দল মনোনয়ন দিলে আমার চিন্তা চেতনা দিয়ে মেহেরপুরকে এগিয়ে নেবো।

মেহেরপুর প্রতিদিন: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে আপনী কতটুকু আশাবাদী?
জয়নাল আবেদীন : দলীয় মনোনয়ন পেতে কতটুকু এগিয়ে আছি সেটা আমার জানা নেই। এটা এখনো অনেক দেরী আছে। দলের ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার জরিপ আছে। সেই জরিপ কি হচ্ছে না হচ্ছে আমি জানিনা। তবে আগামীতে আমি দলের মনোনয়ন পেতে চেষ্টা করবো।

মেহেরপুর প্রতিদিন: সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় আপনী দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছেন বলে অনেক অভিযোগ ছিল। এটা আপনী কিভাবে দেখেছেন ?
জয়নাল আবেদীন : আমি ২০০৪ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলাম। ২০০৬ সালে জাতীয় নির্বাচনের প্রথম মনোনয়ন পেয়েছি। ১/১১ এর মইন-ফকরুদ্দীনের সরকার থাকলো। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর আমি দলের প্রার্থী মনোনীত হলাম। আমি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলাম। নির্বাচনে জয়লাভের পর থেকেই আমি চেষ্টা করেছি দলের সমস্ত নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে কাজ করতে। দু/একজন নেতা বা কর্মীর মনো কষ্ট থাকলেও সেটি ছিল অন্য ব্যাপার। দলের শতকরা ৯৯ ভাগ নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করেই আমি জেলা আওয়ামী লীগের দায়ীত্ব ও সংসদ সদস্যের দায়ীত্ব পালন করেছি।

মেহেরপুর প্রতিদিন: জেলার উন্নয়নে কি কি ক্ষেত্রে আপনার ব্যার্থতা ছিলো বলে মনে করেন?
জয়নাল আবেদীন : আমার ব্যার্থতা খুজে পাইনি। আমি হয়তো সব নেতা কর্মীর আস্থাভাজন হতে পারিনি। আমি ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর আমি চেষ্টা করেছি আমার কর্মকান্ডগুলো পরিচালনা করার। তবে একজন এমপির জন্য পাঁচ বছর একটা বড় সময় না। আমি আবারো দ্বিতীয় মেয়াদে এমপি নির্বাচিত হতে পারলে আমার অনেক স্বপ্ন ছিল, চিন্তা চেতনা ছিল সেগুলো আমি বাস্তবায়িত করতে পারতাম।

মেহেরপুর প্রতিদিন: জেলার উন্নয়নের ক্ষেত্রে আপনার পরিকল্পনাগুলো কি কি ছিল ?
জয়নাল আবেদীন : আমি মুজিবনগর স্থলবন্দর করার জন্য এমপি হয়ে তেহট্ট, কৃষ্ণনগর ও কলকাতায় গেছি। মুজিবনগর স্বাধীনতা সড়কের জিরো পয়েন্টে দুই বাংলার মিলন মেলা করেছি। নদীয়ার কৃষ্ণনগরের ডিসি এসপি এমপি এদের এনেছি। এদেশের ডিসি এসপি থেকে শুরু আমরা সবাই থেকে সেই ২১ ফেব্রুয়ারীতে মিলন মেলা করেছিলাম। সেটার মধ্য দিয়ে মুজিবনগর স্থলবন্দর ও চেক পোষ্ট করার চেষ্টা করেছিলাম। সেব্যাপারে আমি অনেকদুর এগিয়েও ছিলাম। কিন্তু সেই স্থলবন্দরটা কেনো আজ পর্যন্ত হলোনা। আজকে মেহেরপুরের ইপিজেড করার সব প্রক্রিয়া শেষ করেছিলাম। কিন্তু সেটিও আলোর মুখ দেখতে পেলোনা। মেহেরপুরের রেল লাইন এখন পর্যন্ত আলোর মুখ দেখতে পেলোনা। আমার দাবি ছিল জেলায় একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। চিৎলা অথবা বারাদীতে প্রস্তাব দিয়েছিলাম। যেখানে নতুন করে জমি লাগতো না। এজেলার মানুষ ৯৯ ভাগ কৃষক তারা কৃষির সাথে জড়িত। আমি আপার সাথে আলোচনা করেছিলাম।
সেই সময় আপা আমাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় না করে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। আমি ১০০ শয্যার হাসপাতালকে আড়াইশ বেডের হাসপাতালে উন্নিত করেছিলাম। হাসপাতালে মিটিং করে নাম দিয়েছিলাম মুজিবনগর জেনারেল হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ।
আমার উদ্যেশ্য ছিল, এটা মেডিকেল কলেজ করার। এই জেলার গরীব মানুষের ছেলে মেয়েরা সরকারি মেডিকেল কলেজে লেখাপড়া করে ডাক্তার হতে পারতো। আমি নার্সিং ইন্সটিটিউটের জন্য হাসপাতালের দক্ষিণ দিকে ৬ বিঘা জমি অধিগ্রহণ করেছিলাম। ইন্সটিটিউট করার জন্য ২২ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখে এসেছিলাম। এখান থেকে লেখা পড়া শিখে সরকারি হাসপাতালে জব করবে। আমি চলে আসার পর কথা ছিল এখন যারা দায়ীত্বে আছেন তারা এগুলো সমাপ্ত করবেন। কিন্তু সেখানেও দেখেনি আলোর মুখ। মেহেরপুর শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (পিটিআই), টিটিসি, যুব উন্নয়ন ভবন, ভৈরব নদ খনন, বাইপাস সড়ক নির্মাণ, নতু নতুন রাস্তা-ঘাট থেকে শুরু করে ব্রীজ, স্কুল কলেজ ও ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছি। মুজিবনগর থেকে ঝিনাইদহ পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্থকরণ করেছি।
মেহেরপুর সরকারি কলেজকে ২৫ কোটি টাকা এনে দিয়েছি। কমপিউটার ল্যাব করে দিয়েছি। সরকারি মহিলা কলেজ ও সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলের ব্যবস্থা করেছি। আমি তাদের জন্য অডিটরিয়াম ও পরীক্ষাকেন্দ্র করে দিয়েছি। মেহেরপুর সরকারি কলেজে মাত্র তিনটা সাবজেক্টে অনার্স চালু ছিল। সেটাকে মাস্টার্স কোর্চ চালু করেছি। সরকারি মহিলা কলেজবে ১২ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। ছাত্রীদের হোস্টেল ও নতুন ভবন তৈরী করেছিল তারা। পরে যারা দায়ীত্ব নিয়েছেন। এখন তো দায়ীত্ব তাদের। এগুলো তারা বাস্তবায়িত করার কথা।

মেহেরপুর সীমান্তবর্তি একটি ছোট্ট জেলা। তিনদিকে ভারত একদিকে বাংলাদেশ। এ্ই জেলার উন্নয়ন মুষ্টির চালে হবেনা। এখানে বস্তা ভর্তি চাল আনতে হবে। সরকার গতানুগতিকভাবে কি দেবে, তাতে এই জেলার উন্নয়ন হবেনা। আর বস্তা ভর্তি চাল আনতে হলে একস্ট্রা নকিং লাগে, চেষ্টা লাগে। সেই চেষ্টা করেই মেহেরপুরের উন্নয়নকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।
আমি আবারও এমপি নির্বাচিত হলে মনের মত করে পরিকল্পিতভাবে মুজিবনগর ও মেহেরপুরকে সাজাতে চাই।

মেহেরপুর প্রতিদিন: জেলায় একজন পাওয়ারফুল প্রতিমন্ত্রী আছেন উন্নয়নের ক্ষেত্রে তার ভূমিকা কতটুকু আছে বলে মনে করেন
জয়নাল আবেদীন : এই বিষয়টি নিয়ে আমি কথা বলতে চাচ্ছিনা। সময় হলে এসব বিষয়ে আমি কথা বলবো। জেলার উন্নয়নের দায়ীত্ব তো উনার। কাজটা তো উনিই করবেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সরকারের প্রতিমন্ত্রী। উনি চেষ্টা করলে জেলার অনেক কিছুই করতে পারতেন। এখন কেনো হচ্ছেনা, কি সমস্যা সেটা আমার ঠিক ধারনা নেই। সেটা প্রতিমন্ত্রীর সাথে কথা বললেই সঠিক ধারনাটা পাওয়া যাবে।

মেহেরপুর প্রতিদিন: আপনী কি মনে করেন আপনার উন্নয়নের দ্বার যেটা উম্মেচিত হয়েছিল সেটা এখন থমকে আছে?
জয়নাল আবেদীন : আমার সময় হাইস্কুল, কলেজ বা মাদ্রাসাতে সুরম্য বিল্ডিং হয়েছে। ৩৬ টি কলেজ মাদ্রাসা ও স্কুল এমপিওভূক্ত করেছি। ১০/১৫ বছর পর তাদের বেতন করে দিয়েছি। তারা আজকে সরকারের শতভাগ বেতন ভাতা পান। মেহেরপুর পৌর কলেজ, মুজিবনগর ডিগ্রী কলেজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন কলেজের যে সুরম্য ভবন দেখা যায় সব তার আমলে তৈরী হয়েছে।

মেহেরপুর প্রতিদিন : আপনী এবং ফরহাদ হোসেন দুজনেই জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্যের দায়ীত্ব পালন করেছেন দুজনের মধ্যে বেশী সফল কে ?
জয়নাল আবেদীন : আমি তার সফলতা নিয়ে কথা বলবোনা। কার সফলতা কতটুকু সেটা জেলার মানুষ বিচার করবে। সেটা আমার মুখে শোভা পাবেনা। আমি কারোর সাথে কন্ট্রাডিকশন করতে চাইনা।
মেহেরপুর প্রতদিন: আপনী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য থাকার পরেও আপনাকে মনোনয়ন দেইনি কেনো ? আপনার ব্যর্থতা কি ছিল ?
জয়নাল আবেদীন : আমাকে মনোনয়ন না দেওয়ার কারন আমি জানি। উনি ছিলেন সৈয়দ আশরাফের চাচাত ভগ্নিপতি। ২০১৩ সালের ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনের সময় সৈয়দ আশরাফ ছিলেন পার্টির সেক্রেটারী ও এলজিআরডি মন্ত্রী। এ কারনেই আমার মনোনয়নটা ওই সময় কেটে যায়। আমার কোনো ব্যার্থতা ছিলনা। আমার ব্যার্থতা আছে কিনা আপাকে (শেখ হাসিনা) জিজ্ঞাসা করেছিলাম। আপা বলেছিলেন তোমার কোনো ব্যার্থতা নেই।

মেহেরপুর প্রতিদিন : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনাকে কি কারনে মনোনয়ন দিতে পারেন বলে মনে করেন?
জয়নাল আবেদীন : আমি ছিলাম ২০০৮ সালের সকল দলের অংশ গ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে একজন নির্বাচিত এমপি। এই সিটে ৯৬ সালে জোহুরা তাজউদ্দীন এসে হেরেছে। সেখানে আহমেদ আলী এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল মান্নান হেরেছে বিএনপি প্রার্থী মাসুদ অরুনের কাছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমি ধানের শীষের সেই প্রাথীর সাথে প্রতিদ্বন্দীতা করে ৪৯ হাজার ৮৬২ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছি। আমি ছিলাম এই আসনের একজন জনপ্রিয় এমপি। আগামী দিনে সব দলের অংশগ্রহণ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলেও এই সিটে আমার কোনো বিকল্প থাকবেনা। ফেয়ার ইলেকশন দিলে এই আসনের যাকে তাকে মনোনয়ন দিলে বৈতরনি পার হবেনা। স্ট্যাটিস্টিকস দেখতে হবে। আমার জন্ম মুজিবনগর উপজেলাতে। আমি ওখানে ছিলাম জীবনের ৩৩ বছর। আমি ৭৩ সালে বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলাম। আমি ২০০৮ সালের নির্বাচনে এমপি হয়েছি। নির্বাচনে মুজিবনগর উপজেলার মানুষ আমাকে ৬২.২৩ শতাংশ ভোট দেন। তারা বলেছেন জয়নাল আমাদের ছেলে এই বলে উজাড় করে ভোট দেন। আর আমি সদর উপজেলায় ভোট পেয়েছি ৫২.৩৪ শতাংশ ভোট। আমি ৫৩ বছর যাবৎ আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছি। গাংনীর কাজীপুর থেকে মুজিবনগরের জয়পুর পর্যন্ত গোটা জেলায় প্রতিটি গ্রামে আমার দুই থেকে তিনবার পা পড়েছে। মানুষ চিন্তা করেছে আমাকে ভোট দিলে জেলার উন্নয়ন হবে। সেই আস্থা রেখেই আমাকে ভোট দিয়েছিল। আমার বিশ্বাস আমাকে একজন ভাল প্রার্থী হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনয়ন দিলে ভৌগলিক দিক বিবেচনা করে বিপুল ভোটে মানুষ আবারো নির্বাচিত করবেন। ভৌগলিক বিবেচনা করে প্রধান মন্ত্রী আমাকে আবারো মনোনয়ন দিলে, আমি নির্বাচিত হয়ে সিটটা তাকে উপহার দেবো।

মেহেরপুর প্রতিদিন: মনোনয়ন দিলে দলের সব নেতা কর্মীকে এক সাথে নিয়ে নির্বচানে জয়ী হতে পারবেন কি :
জয়নাল আবেদীন : আমাকে মনোনয়ন দিলে সব নেতা কর্মী এক ছায়াতলে আসবেন। একজন নেতা কর্মীও দলের বাইরে যাবেনা। সেটা একমাত্র সম্ভব আমার মাধ্যমে।

মেহেরপুর প্রতিদিন: এবার মনোনয়ন পেলে জেলাবাসির জন্য কি কি পরিকল্পনা আছে?
জয়নাল আবেদীন : মুজিবনগরকে সামনে রেখে জেলাবাসির অর্থসামাজিক উন্নয়ন করবো।
মেহেরপুর প্রতিদিন: মুজিবনগরের উন্নয়ন জাতীয় উন্নয়নের অংশ। জেলার উন্নয়নে প্রতিমন্ত্রীর ভূমিকা কতটুকু আছে বলে মনে করেন ?
জয়নাল আবেদীন : এই জেলাতে কি কি উন্নয়ন হয়েছে। সেটা প্রতিমন্ত্রীর কাছে চাওয়াই বেটার হবে। উনি (প্রতিমন্ত্রী) ৯ বছর এমপি ও মন্ত্রী হিসেবে দায়ীত্ব পালন করছেন। জেলার উন্নয়ন কি হয়েছে আর কি হয়নি। সেটা আমার চেয়ে বেশী তিনি জানেন। তিনিই বলুক কি কি উন্নয়ন হয়েছে।
মেহেরপুর প্রতিদিন: জেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাড়ালেন কেনো? এখানে দলীয় চাপ দলীয় ছিল কি ?
জয়নাল আবেদীন : জেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর ক্ষেত্রে দলীয় কোনো চাপ ছিলনা। আমি জীবন সায়াহেৃ এসে চিন্তা করেছি, আমি ১৯৬৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আমার জীবনে রাজনীতি করতে গিয়ে বিদ্রোহী স্বতন্ত্র বা কোনো কালিমা নেই। আমি ভোট করলে হয়তো জিততে পারতাম। কিন্তু আমাকে বলা হতো জয়নাল চেয়ারম্যান বা বিদ্রোহী চেয়ারম্যান। আমাকে এখন মানুষ বলে সাবেক এমপি। তখন সেটা ঘুচে যেতো। বলতো জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। আমাকে বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী বলে আখ্যায়িত করতো। আমি দলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে স্বেচ্ছায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছি।

মেহেরপুর প্রতিদিন: সততা, যোগ্যতা আদর্শ এবং জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে দলকে ঢেলে সাজানোর যে পরিকল্পনা সভাপতি শেখ হাসিনা নিয়েছেন, জেলা কমিটি গঠণে সেই পরিকল্পনা কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে বলে মনে করেন আপনী ?
জয়নাল আবেদীন : এখনো তো জেলা কমিটিই হয়নি। শুধুমাত্র সভাপতি ও সম্পাদকের পদটি ডিক্লারড হয়েছে। এখন সভাপতি ও সম্পাদক যারা হয়েছে তাদের দায়ীত্ব এটাকে সুন্দর করে ত্যাগী নেতা কর্মীদের নিয়ে ঢেলে সাজিয়ে নতুন করে সবার গ্রহণযোগ্য কমিটি উপহার দেবেন। সেটা কতটুকু তারা কিভাবে করবেন তারা ভাববেন।

মেহেরপুর প্রতিদিন: জেলা আওয়ামীলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠণ নিয়ে বলেছেন ইউপি নির্বাচন এবং সামনের জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে জেলা কমিটি গঠণ লেন্দি হচ্ছে। কিন্তু সামনে তো আবার জাতীয় নির্বাচন চলে আসছে। সেক্ষেত্রে কমিটির ভবিষ্যৎটা কি ?
জয়নাল আবেদীন : কমিটি হতে হবে এক বা দু মাসের মধ্যে। আমি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরপরই উপজেলা, পৌর কমিটির সভাপতি ও জেলার প্রবীণ সব নেতাদের ঢাকার পির ইয়ামিনে নিয়ে গেছি। সেখানে বসে সবাইকে সাথে নিয়ে পুর্ণাঙ্গ কমিটি উপহার দিয়েছি। তখন কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেনি কমিটি নিয়ে। কেনো যে পারছেন না বা দেরি করছেন আমার মাথায় আসছেনা। এটা এখন জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সেটা করবে। যদি একা না পারে সেক্ষেত্রে প্রবীণ ও সিনিয়র নেতাদের সাহায্যও নিয়ে গঠণ করতে পারে। ২০১৫ সালে তারা কমিটি গঠণ করেছিলেন। সেখানে আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। আমি বলবো কমিটি গঠণ করার ক্ষেত্রে সেনসেসনটা ব্রড হওয়া উচিৎ। দলতো কেউ একা করতে পারেনা। সবাইকে নিয়েই একটা দলের শক্ত অবস্থান তৈরী হয়।

মেহেরপুর প্রতিদিন: মেহেরপুর প্রতিদিনকে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
জয়নাল আবেদীন : মেহেরপুর প্রতিদিনকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে জেলাবাসির মঙ্গল কামনা করছি।