‘সুষ্ঠু’ ভোট হলে আওয়ামী লীগের পাত্তা থাকবে না: রিজভী

সুষ্ঠু নির্বাচনকে আওয়ামী লীগ জাদুঘরে পাঠিয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তার দাবি– দেশে এখন ‘সুষ্ঠু’ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের পাত্তা থাকবে না।

ঈদ সামনে রেখে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাসের উদ্যোগে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনকে তারা জাদুঘরে পাঠিয়ে দিয়েছে। আওয়ামী মার্কা নির্বাচন, হাসিনা মার্কা নির্বাচন; সেই নির্বাচনে ভোটার দরকার পড়েনি, সেই নির্বাচনকে তারা প্রতিষ্ঠিত করেছে।’

তিনি বলেন, সে কারণেই দেশে এখন নাগরিক স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকলে তো কথা বলবে। এই যে অন্যায়, অনাচার, এই যে জিকেজি, রিজেন্ট হাসপাতাল, এই যে করোনার জাল সার্টিফিকেট– এগুলোর বিরুদ্ধে মানুষ সোচ্চার হবে, রাস্তায় নামবে।

‘সে কারণে গণতান্ত্রিক অধিকার, যে অধিকারের জন্য ছাত্র-জনতা এত রক্ত দিয়েছে, তারা ক্ষমতায় এসে প্রথমেই টার্গেট করে সেই গণতন্ত্রকে’-যোগ করেন রিজভী।

করোনাভাইরাস মহামারীতে ক্ষমতাসীনরাই ‘সুখে আছে’ বলে মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। বলেন, ‘তারা চলে যাচ্ছে দেশের বাইরে ভালো থাকার জন্য। শুনেছি তাদের অনেকেরই কানাডায় বেগমপল্লীতে বাড়ি আছে, কারও নাকি সেকেন্ড হোম মালয়েশিয়ায়। এর মধ্য দিয়ে তারা অত্যন্ত সুখে আছেন।

ক্ষমতাসীন নেতারা বহু টাকা পাচার করেছেন এমন অভিযোগ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, গত ১১ বছর ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগের অনেকেই অনেক টাকা করেছেন। অনেকে টাকা দেশের বাইরে নিয়ে চলে গেছেন। সেগুলো তো সুখে-শান্তিতে থাকার জন্য।

বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর ‘নিপীড়নের চিত্র’ তুলে ধরে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বিএনপি করলে এখন কষ্টের সীমা থাকে না। তার চাকরি থাকবে না, তার জীবনযাপন থাকবে না, তার কিছুই থাকবে না। সে বাড়িতে থাকতে পারবে না, এলাকায় থাকতে পারবে না, তার পরিবারের সঙ্গে থাকতে পারবে না, ঈদের মধ্যেও বাড়িতে যেতে পারবে না। তাকে অসংখ্য মামলা দিয়ে এলাকাছাড়া, গ্রামছাড়া করা হবে।

জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর অকাল মৃত্যুর কথা তুলে ধরে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, কত সংগ্রাম, চড়াই-উতরাই, স্বৈরাচারের কত উৎপীড়ন সহ্য করেছে সে। সেই নেতৃত্বকে আমরা বাঁচাতে পারিনি। এই যে মৃত্যু, এই যে লাশ, এই যে দাফন– এর মধ্য দিয়ে আমাদের জীবন কাটছে।

জাসাসের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রোকনের পরিচালনায় এ অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র থেকে টেলিফোনের মাধ্যমে যোগ দিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল খান।

অন্যদের মধ্যে ইয়ুথ বাবু, রফিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম রিপন, মীর সানাউল হক, হাসান চৌধুরী, আরিফুর রহমান মোল্লা, আবদুল হান্নান মাসুম, রফিকুল ইসলাম স্বপন, চৌধুরী আজহার আলী শিবাসানু, মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সূত্র-যুগান্তর