সৌদিতে বন্দি ১৭ জনের খাবার ও দেশে ফেরতের ব্যবস্থা করছে বাংলাদেশ দূতাবাস

সৌদি আরবে ২ মাস প্রায় অনাহারে বন্দি গাংনীর ১৭ শ্রমিকের খাবারের ব্যাবস্থা, তাদের কাজ অথবা দেশে ফেরার ব্যাবস্থা গ্রহনের পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পাবলিক প্রাইভেট পার্টনার শীপ কতৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা(সচিব) মো: আলকামা সিদ্দিকীর নির্দেশে সৌদির বাংলাদেশ দূতাবাস এ পদক্ষেপ নেয়।

মো: আলকামা সিদ্দিকী জানান, মেহেরপুর প্রতিদিন নামের একটি অনলাইন পোর্টালের সংবাদ দেখে আমি তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের রিয়াদ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছিলাম। কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ তারা অতিদ্রæত ব্যবস্থা নিয়েছেন। আমাকে জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, বিদেশের মাটিতে মেহেরপুর-গাংনীর কেউ কোন ধরনের সমস্যায় পড়লে আমাকে জানালে হয়তো কোন সহায়তা করা যাবে।

ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার ১৭ জন শ্রমিক সৌদিতে পাড়ি জমায়। জমি জায়গা বিক্রি করে শেষ সম্বল টুকু আদম দালালের হাতে তুলে দিলেও কাজ না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে ১৭ জন অসহায় শ্রমিক।

আদম দালালর খপ্পরে পড়ে প্রতারনার শিকার হয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন পার করছে এই সব শ্রমিক।
এদের মধ্যে অনেককেই বাড়ি থেকে টাকা পাঠিয়ে বাড়ি ফেরত আনা হলেও বন্দি রয়েছে ১৭ জন। বন্দিদের ফিরিয়ে আনার জন্য আদম দালাল নাহিদের কাছে ধর্ণা দিলেও কোন লাভ হয়নি।

জানা গেছে, ক্লিনারের কথা বলে প্রতিজনের নিকট থেকে ৬ লাখ টাকা করে নিয়ে সৌদি আরবে পাঠিয়েছেন আদম দালাল নাহিদ। গাংনী উপজেলার হিজল বাড়িয়া গ্রামের ইয়াছিন আলীর ছেলে নাহিদ।
নাহিদ বিভিন্নভাবে এলাকার সাধারণ মানুষকে ফুসলিয়ে ভুয়া ভিসায় সৌদিতে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে। তার প্রতারণার শিকারে অনেকেই সর্ব শান্ত হয়েছে জানা গেছে।

প্রতারণার শিকার হওয়ার স্বজনদের কাছ থেকে জানা যায়, সৌদি আরবে যাওয়ার দশ দিন পর মোবাইল ফোনে খবর আসে তাদেরকে এয়ারপোর্ট থেকে কেউ রিসিভ করতে আসেনি একদিন পর তারা নিজেরাই উদ্দেশ্য বিহীন ভাবে এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে পড়ে।

পরে আদম দালাল তাদের ভূয়া কোম্পানির ভিসা দিয়েছে বলে জানতে পারে। যে কোম্পানির ভিসা দেওয়া হয়েছে সেই নামের নাকি কোন কোম্পানি সেখানে নেই। কোম্পানির কোন ঠিকানা বা কোন কাজ না পেয়ে গত দুই মাস যাবৎ অনাহারে অর্ধাহারে কোন রকম বেঁচে আছে তারা।

আজ কাল করে ২মাস যাবৎ একটি ঘরের মধ্যে বন্দি করে রেখেছে কোন খাবার ও দেওয়া হচ্ছেনা। যারা সৌদিতে আটকা পড়ে আছে তারা হলো, গাংনী উপজেলার হিজল বাড়িয়া গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে উজ্জল হোসেন, মহিরুদ্দিনের ছেলে ইলিয়াস হোসেন, আব্দুর রহমানের ছেলে টুকু, রশিদ শেখের ছেলে রুবেল হোসেন, কিয়ম মোল্লার ছেলে শফি, একই উপজেলার কালী গাংনী গ্রামের ইয়ার বক্সের ছেলে নিফাজ উদ্দিন, জামাল হোসেনের ছেলে কামরুল ইসলাম,

চায়নার ছেলে সোহান, জফের আলীর ছেলে মাহবুল ইসলাম, মেহেরপুর সদরের বামুন পাড়ার মজিবর রহমানের ছেলে সুমন হোসেন, সুরাত আলীর ছেলে জাকিরুল ইসলাম, দৌওলতপুর উপজেলার খলিসাকুন্ডি গ্রামের জবেদ আলীর ছেলে জীবন আহমেদ, হজরত আলীর ছেলে এনামুল হক।

নিজস্ব প্রতিনিধি