হরিণাকুণ্ডুতে কৃষকের স্বপ্ন পুড়িয়ে দিলো দূর্বৃত্তরা

পল্লীর কৃষক মোঃ নূর ইসলাম।নিজের ঘরের চালের ভাত খাবেন,এমনটাই স্বপ্ন নিয়ে ২৪ শতক জমিতে রোপন করেছিলেন নিপিয়া ঘাসের চারা।বিধাতার লিখন না যায় খণ্ডানো। রাতের আঁধারে কে যেন ক্ষতিকারক কীটনাশক ছিটিয়ে ঘাসগুলো পুড়িয়ে ফেলেছে।বুধবার (১৩ অক্টোবর) সকালে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার পৌর সভার ২ নং ওয়ার্ডের পার্বতীপুর গ্রামের দক্ষিণ পাড়াতে গিয়ে এমনই দেখা গেছে। এহেন পরিস্থিতিতে চরম হতাশা এবং দুশ্চিন্তায় পড়েছেন প্রান্তিক কৃষক মোঃ নূর ইসলাম।

জানাগেছে, অসহায় ক্ষতিগ্রস্থ এই পল্লীর প্রান্তিক কৃষক নূর ইসলাম ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার পার্বতীপুর গ্রামের মুনসাদ আলী মণ্ডলের ছেলে। হতভাগা চব্বিশ শতক জমিতে এই নিপিয়া ঘাস রোপন করেছিলেন। বুকভরা আশা নিয়ে ছাগল,গরু,হাস মুরগী বিক্রি করে যা আসে তা দিয়ে এই ঘাস আবাদ করেন। এই ঘাস বিক্রি করে তার নিজ পরিবারের খাবারের চাহিদা মেটানো হয়। এখানেই শেষ নয় এই পল্লীর কৃষক নূর ইসলামের সোনালী স্বপ্নের আসায় বৃহত্তর পরিষরে চাষ করার জন্য এনজিও থেকেও ঋণ নিয়েও ঘাস চাষ করেন।

চারা রোপণ করার দেড় মাস পরেই রোপণ করা ক্ষেতটি সম্প্রতি গাঢ় সবুজে রুপান্তর হয়েছিল। এবছর ব্যপক লাভের আশা দেখছিলেন কৃষক নূর ইসলাম। রাতের আঁধারে কে বা কারা এই ক্ষেতে ক্ষতিকারক কীটনাশক ছিটিয়ে পুড়িয়ে দেয়। যাতে করে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকার ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয় তার।

হরিণাকুণ্ডু পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সরোয়ার হোসেন “দৈনিক ডেল্টা টাইমস্”-কে জানান, নূর ইসলাম ভাই খুব ভালো মানুষ। গভির রাতে দূর্বৃত্তরা তার জমির সমস্ত ঘাস ক্ষতিকারক কীটনাশক দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। আমি এহেন ঘটনার সুষ্ঠ্যু বিচার চাই এবং জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দ্বাবী করছি।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক বলেন,আমি গরিব মানুষ আমার কারোর সাথে দ্বন্দ নেই। এই নিপিয়া ঘাস চাষে বর্তমানে আমার প্রায় ১৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এই টাকা হাস ,মুরগী বিক্রি করা ও এনজিও থেকে ঋণ নেয়া। রোপণকৃত ২৪ শতক জমি থেকে প্রায় ৫০-৫৫ হাজার টাকা আয় হতো। তিনি আরও বলেন, আমি এখন পথে বসে গেছি। নিজে খাবো কি আর ছেলে মেয়েকে খাওয়াবো কি? এভাবেই কান্নায় ভেংগে পড়ে কৃষক নূর ইসলাম। তাছাড়া কারা এই ঘাস ক্ষেত পুড়িয়ে ফেলেছে,তা ধারণা করতে পারছি না। এ ব্যাপারে আমি ইতিমধ্যে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
ঘটনাটি আমি শুনেছি যা দুঃখজনক। বিষয়টি হরিণাকুণ্ডু থানা অফিসার অবগত আছেন বলেও জানান হরিণাকুণ্ডু পৌর মেয়র মোঃ ফারুক হোসেন।
এদিকে হরিণাকুণ্ডু থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা অভিযোগের ঘটনা স্বীকার করে তিনি বলেন এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ এসেছে, তদন্ত সাপেক্ষ বিষয়টা ক্ষতিয়ে দেখা হবে।