হরিণাকুণ্ডুতে ৮বিঘা জমির পানের বরজ পুড়ে ছাই

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার গুড়পাড়া ভাতুড়িয়া গ্রামের ৮বিঘা জমির পানের বরজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াই দিকে পানের বরজে কাজ করতে আসা কোন শ্রমিকের সিগারেটের আগুন থেকে ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যে গ্রামের লোক জানাজানি হলে মাইকে ঘোষণা দেওয়ায় সবাই দৌড়ে এসে আগুন নেভাতে চেষ্টা করে, এতে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান কিছুটা কম হয়েছে। পরে হরিণাকুণ্ডু থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে পুরা আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।

হরিণাকুণ্ডু ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, পান বরজে কাজ করা কোন শ্রমিকের বিড়ি-সিগারেটের আগুন থেকে এই আগুনের সুত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে তারা জানান।

আগুনে গুড়পাড়া ভাতুড়িয়া গ্রামের মৃত নজির মোল্লার ছেলে আজিমুদ্দীনের ১৫শতক, বজলুর রহমানের ছেলে ফারুক হোসেনের ১৪ শতক, তফেজ মন্ডলের ছেলে রবিউল ইসলামের ২০শতক, নুরুল ইসলামের ছেলে মমিন মন্ডলের ১৬ শতক, মৃত আলাল সর্দ্দারের ছেলের বকুল সর্দ্দারের ২৩ শতক, মৃত আমোদ আলী মন্ডলের ছেলে জাহিদুল ইসলামের ১৮শতক, মৃত সমশের বিশ্বাসের ছেলে রফিউদ্দীন বিশ্বাসের ১৫শতক, মৃত জলিল মন্ডলের ছেলে মন্টু মন্ডলের ৮ শতকসহ গ্রামের আরও বেশ কয়েকজনের প্রায় ৮ বিঘা জমির পানের বরজ পুড়ে যায়। আগুনে আনুমানিক ১৫লাখ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভুক্তভোগি এই পান চাষিরা সরকারের সহযোগীতা কামনা করেছেন।

এবিষয়ে ৫নং কাপাশহাটীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফতদৌলা ঝন্টু বলেন, বিষয়টি আমি জানার পরেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, গ্রামের ১০জন কৃষকের প্রায় ৮বিঘা জমির পানেরবরজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কৃষকরা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, সাধ্যমত তাদের সহযোগীতা করা হবে বলে তিনি জানান।