হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে গেলেন ছাত্রলীগ নেতা

হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করেছেন কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বাঘমারা উত্তর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন মির্জা। গতকাল বুধবার নিজ গ্রাম দুতিয়াপুর থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে পার্শ্ববর্তী চন্ডিপুর গ্রামে বিয়ে করেন তিনি।

বিয়েতে বরযাত্রী ছিলেন প্রায় ৩০০ জন। বিকেল পৌনে ৩টায় মা ও ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে শ্বশুরালয়ে রওনা হন নাছির। সেখানে পৌঁছে মাত্র এক ঘন্টার মধ্যেই সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে কনেকে নিয়ে ফিরে আসেন পিত্রালয়ে। একজন ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা হয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ের বিষয়টি এলাকায় বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুমিল্লার লালমাই উপজেলার দুতিয়াপুর গ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে ও বাঘমারা উত্তর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন মির্জা বুধবার বিয়ে করেছেন পার্শ্ববর্তী বরুড়া উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের আবদুল মান্নানের কন্যা জান্নাতুল মাওয়া প্রিয়াকে।

দুতিয়াপুর থেকে চন্ডিপুরের দূরত্ব মাত্র দুই কিলোমিটার। কিন্তু সামান্য এ পথ পাড়ি দিতেই বর নাছির উদ্দিন মির্জা ভাড়া করে এনেছেন হেলিকপ্টার। বিকেল পৌনে ৩টায় মা ও ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে শ্বশুরালয়ে পৌঁছান নাছির। এক ঘন্টার মধ্যেই বিয়ের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে কনেকে সঙ্গে নিয়ে ফিরে আসেন পিত্রালয়ে।

বিয়ের অনুষ্ঠানের যাত্রী ও বাঘমারা উত্তর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ফজলে রাব্বী বলেন, ‘শখের বসেই হেলিকপ্টারটি ভাড়া করে আনা হয়েছে। বরের বাড়ি থেকে কনের বাড়ির দূরত্ব তো অনেক কম। মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ করা হয়েছে। বর তার মা ও ভাইকে নিয়ে কনের বাড়িতে গেছেন।’

তিনি বলেন, ‘বিয়েতে বরযাত্রী ছিল প্রায় ৩০০। বর হেলিকপ্টারে গেছেন, আমরা মাইক্রো আর বাইকে গেছি। বৃহস্পতিবার বৌ-ভাত অনুষ্ঠিত হবে। বিয়েতে উকিল হয়েছেন সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার।’

জানতে চাইলে সদর দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আয়াত উল্লাহ জানান, ‘হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ের বিষয়টি আমি শুনেছি। ফেসবুকেও দেখিছি। তবে নাছিরের বিয়েতে আমি দাওয়াত পাইনি।’

ছাত্রলীগ নেতার হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে নিয়ে সমালোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আলোচনা-সমালোচনা তো একটু হবেই।’

সূত্র: কালের কণ্ঠ