আলমডাঙ্গায় প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে এক শিক্ষকের অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে। সালিশ বৈঠকে হাতাহাতির পর মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেনের ঘটনায় মসজিদ কমিটির সভাপতি পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি গার্লস স্কুলের এক শিক্ষক এবং স্থানীয় কাজী জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ ওঠে। গত বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গেছে।
ঘটনার জেরে শুক্রবার বিকেলে স্থানীয়ভাবে একটি সালিশ বৈঠক বসে। বৈঠকে এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলাকালে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে কথাকাটাকাটি থেকে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। এতে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্তদের আচরণে গ্রামজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। প্রবাসীর স্ত্রীকে জড়িয়ে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ দ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে এবং সামাজিকভাবে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। গ্রামবাসীর দাবি, ওই শিক্ষকের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে মসজিদ কমিটির সভাপতি পদ থেকেও তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, সালিশ বৈঠকে শালিসদাররা বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করলেও কোনো সুরাহা হয়নি বলে জানা গেছে। এ নিয়ে গ্রামের পরিবেশ এখনো উত্তপ্ত।
পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে, বিষয়টি ধামাচাপা দিতে কিছু আর্থিক লেনদেন করেছেন বলে ওই শিক্ষক স্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক জহুরুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনাটি সঠিক নয়। স্থানীয়রা চক্রান্ত করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
আলমডাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিয়াউল হক জানান, এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে ঘটনাটি সম্পর্কে তদন্ত করা হবে। তিনি দায়ী প্রমাণিত হলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।