
‘আমরা মাসুম ভাইকে নিয়ে গর্বিত যে বাংলাদেশী একজন প্রবাসে এসে অস্ট্রেলিয়ার মধ্যবর্তী একটা শহরে বাংলাদেশী কম হওয়ার পরেও তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।আমরা আনন্দিত এবং তার সফলতা কামনা করছি।’ অস্ট্রেলিয়ায় কাউন্সিলর পদে লড়ছেন মেহেরপুরের মাসুম বিল্লাহ।
অস্ট্রেলিয়ার ঐতিহ্যবাহী শহর নর্দান টেরিটোরির এলিস স্প্রিংস এর স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশী সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী মাসুম বিল্লাহ। এই নির্বাচনে শহরটিতে বসবাসরত প্রথম কোনো প্রবাসী বাংলাদেশী এবং মুসলিম প্রার্থী যিনি কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মাসুম বিল্লাহ বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জেলা মেহেরপুর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ড নতুন পাড়ার বাসিন্দা। তার বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। চার বোন ও তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি চতুর্থ।
সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী মাসুম বিল্লাহ অস্ট্রেলিয়ার প্রবাসী বাংলাদেশী এবং মুসলিম কমিউনিটির কাছে খুব পরিচিত একটি মুখ। তিনি টাউন কাউন্সিল নির্বাচনে সিটি কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় স্থানীয় বাংলাদেশী এবং মুসলিম কমিউনিটি বেশ উচ্ছ্বসিত।
এলিস স্প্রিংস মুসলিম কমিউনিটির সভাপতি সাইদ মালিক বলেন, ‘আমাদের মুসলিম কমিউনিটি থেকে প্রথম প্রার্থী হিসেবে মাসুম বিল্লাহ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এজন্য আমরা আনন্দিত এবং আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি তাকে নির্বাচনে বিজয়ী করার জন্য।’
প্রবাসী বাংলাদেশী ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মাসুম ভাইকে নিয়ে গর্বিত যে বাংলাদেশী একজন প্রবাসে এসে অস্ট্রেলিয়ার মধ্যবর্তী একটা শহরে বাংলাদেশী কম হওয়ার পরেও তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আমরা আনন্দিত এবং তার সফলতা কামনা করছি।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘সবসময় আমরা ভোট দেই অন্যদেরকে, কিন্তু এবার প্রথম আমাদের নিজস্ব প্রার্থী হওয়াতে আমরা নিজেদের প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছি এবং অন্যদের কাছে ভোট চাচ্ছি ও ভোটের প্রচারণা চালাচ্ছি। আমরা আশা করছি আমাদের সফলতা আসবে।’
কাউন্সিলর প্রার্থী মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘আমি যদি নির্বাচিত হই তাহলে স্থানীয় ও প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কাজ করবো। প্রবাসী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মিলেমিশে থাকার পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করবো এবং বাংলাদেশের সাথে আমাদের অস্ট্রেলিয়ার এই শহরের একটা সিস্টার কনসার্ন কানেকশন করার চেষ্টা করবো।’
মাসুম জানান, তার প্রধান অগ্রাধিকার থাকবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করা, জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা এবং এলিস স্প্রিংস শহরের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রক্ষা করে বাসযোগ্য শহর হিসেবে গড়ে তোলা।
উল্লেখ্য, গত ১১ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে এলিস স্প্রিংস এর স্থানীয় সরকার নির্বাচন, নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হবে ২৩ আগস্ট। শহরটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ হাজার। এবার সাতজন প্রার্থী মেয়র পদে এবং ২৫ জন প্রার্থী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে একজন মেয়র পদে এবং আটজন কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হবেন।