
ভবিষ্যতে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যদি ক্ষমতায় আসেন, তাহলে দেশে কোনো ধরনের অনিয়ম, অত্যাচার, চাঁদাবাজি কিছুই থাকবে না। নির্বাচন অধিশীঘ্রই আসছে। তাই পুলিশ প্রশাসনের কাছে আমাদের অনুরোধ যারা অবৈধ অস্ত্র বহন করে, যারা মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে, তাদেরকে অতি দ্রুত গ্রেফতার করুন। অস্ত্রবাহীদের গ্রেফতার না করলে এই দেশে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন হবে না, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হবে না।
আর এই ফ্যাসিস্টরা যদি কোনোভাবে মিছিল-মিটিং বের করে, তাহলে তাদের তৎক্ষণাৎ আইনের আওতায় আনুন। কারণ তারা এই নির্বাচন বানচাল করার জন্য বারবার চেষ্টা করছে বিভিন্ন জায়গায়, অফিসে, এমনকি ছোট ছোট এলাকায়ও তারা মিছিল করার চেষ্টা করছে। আমাদের অনুরোধ কোনো জায়গায় এরকম কিছু দেখলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে বা জেলা বিএনপিকে সংবাদ দিন।
আজ রবিবার বিকেলে মেহেরপুর সদর উপজেলার বামনপাড়ার মোড়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও জনসম্পৃক্তকরণের লক্ষ্যে মেহেরপুরে এক জনসভা প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসকল কথা বলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. কামরুল হাসান।
তিনি আরো বলেন, আপনাদের কাছে আমাদের আহ্বান আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে মেহেরপুর-১ ও মেহেরপুর-২ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে জেলা বিএনপি প্রার্থী হবে এবং আপনাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে।
দীর্ঘ ১৭ বছর আপনারা যে কষ্ট সহ্য করেছেন এই ফ্যাসিস্ট সরকারের কারণে ঘরে ঘুমাতে পারেননি, জেলখানায় থাকা অবস্থায় আপনাদের শুভাকাঙ্ক্ষীরাও দেখা করতে পারেননি সেই কষ্টের অবসান আসছে। এখন মাত্র দুই-তিন মাস আপনাদের পরিশ্রম করতে হবে। মানুষের দ্বারে দ্বারে যেতে হবে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা দাবি তাদের বোঝাতে হবে, তাদের কাছে ভোট চাইতে হবে।
আমি বিশ্বাস করি, যদি আপনারা এই তিন-চার মাস সঠিকভাবে কাজ করেন, তাহলে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর আগামী ৫০ বছর বিএনপি ক্ষমতায় থাকবে।
তিনি বলেন, অন্য কারো কাছে জেলা বিএনপির সংগঠন নিয়ে প্রশ্ন ওঠার কোনো সুযোগ নেই আপনারা নির্বাচনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। আপনাদের মনোনীত প্রার্থীকেই আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ধানের শীষ প্রতীক দেবেন।
আমি আপনাদের বলতে চাই নির্বাচন নিয়ে দেশে এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ ও দুর্ধর্ষ ষড়যন্ত্র চলছে। আপনারা জানেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র বিশেষ করে ভারতের ষড়যন্ত্র আমাদের ঘাড়ে চেপে বসেছে। তাই বলছি আপনারা সব সময় ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। ধানের শীষ প্রতীক ঘোষণার সাথে সাথে ঝাঁপিয়ে পড়বেন, সেই প্রতীককে বিজয়ী করার জন্য।
দীর্ঘদিন এই সরকার সংস্কারের কথা বলে আসছে। কিন্তু আপনারা জানেন এক-এগারোর সরকারও সংস্কারের কথা বলে দুই বছর পর কী করেছিল!
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মীর গোলাম ফারুক।
সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আজমুল হোসেন মিন্টুর যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, আনসার উল হক, আলমগীর খান ছাতু, সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু সালেহ নাসিম, এ. কে. এম. খাইরুল বাশার, হাফিজুর রহমান হাফি, সাংগঠনিক সম্পাদক রোমানা আহমেদ, ওমর ফারুক লিটন, পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল লতিফ ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এহান উদ্দিন মনা।
এছাড়াও সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান খান (গাজু), সৌরভ উদ্দিন, আমদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেনসহ বিএনপি’র বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।


