ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা বিএনপি’র অভ্যন্তরীণ কোন্দল থাকায় বিবাদমান দুটি গ্রুপের একই দিনে পাল্টপাল্টি কর্মসূচিতে আইন শৃংখলা অবনতির আশংকায় মেলেনি পুলিশি অনুমতি।

রবিবার বিকালে দুটি গ্রুপের পাল্টপাল্টি কর্মসূচির ঘোষণা দেয়ায় উভয় পক্ষের মধ্যে দেখা দেয় উত্তেজনা। এ দিকে আইন শৃংখলা বিঘ্ন ঘটার আশংকায় রবিবার শহরে পুলিশি নজর দারী জোরদার করেছে স্থানীয় থানা পুলিশ। সেই সাথে থানা পুলিশ উভয় পক্ষকে একই দিনে অনুষ্ঠান করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিলে পরবর্তীতে দুটি গ্রুপই স্ব-স্ব প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যেমে তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেছেন।

জানা যায়, সম্প্রতি কোটচাঁদপুর উপজেলা বিএনপি’র কমিটি ভেঙ্গে দেয় জেলা বিএনপি। পরবর্তীতে সাবেক উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাককে আহ্বায়ক করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলে কোটচাঁদপুর উপজেলা বিএনপি’র মধ্যে দু’টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এক গ্রুপের নের্তৃত্বে আসেন উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম অপর গ্রুপের সদ্য আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক।

আহ্বায়ক কমিটি ফেসবুকে প্রচার হওয়ার পর গত ১১ মার্চ আহ্বায়ক কমিটি’র ৪জন যুগ্ন-সম্পাদকসহ ১৫জন পক্ষ পাতিত্বের অভিযোগ এনে পদত্যাগ করেন। বিষয়টি নিয়ে পদত্যাগীরা আহ্বায়ক কমিটি ভেঙ্গে পুনঃরায় কমিটি করার দাবীতে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ কেন্দ্রীয় বিভিন্ন নেতাদের নিকট আবেদন করেন। অথচ এখনো এর কোন প্রতিকার পাননি বলে জানান।

এদিকে রবিবার বিকালে আহ্বয়াক কমিটি পূর্বের উপজেলা অফিস বর্জন করে স্থানীয় মেইন বাসস্ট্যাণ্ডে নতুন অফিস উদ্বোধন ও আলোচনা সভার জন্য জেলা নের্তৃবৃন্দের আমন্ত্রণ জানান। বিষয়টি জানতে পেরে অপর গ্রুপ রবিবার বিকাল ৩টায় জেলা নের্তৃবৃন্দের উপস্থিতিতে নতুন অফিস উদ্বোধনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ, কালো পতাকা প্রদর্শন ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয়। উভয় পক্ষই জেলা পুলিশের বিশেষ শাখায় অনুষ্ঠান কর্মসূচি করার জন্য আবেদন করেন।

আইন শৃংখলা অবনতির আশংকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি না পাওয়ায় দুগ্রুপের অনুষ্ঠান বাতিল করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুগ্রুপের নের্তৃত্বদান কারীরা। উভয় পক্ষের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় রবিবারের সকল কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তীতে সুবিধামত সময়ে পরবর্তী কর্মসূচির তারিখ ঘোষণা করা হবে।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুল আলম জানান- আমি উভয় পক্ষের সাথে কথা বলেছি, তারা এখন অনুষ্ঠান করবেন না বলে জানিয়েছেন। এছাড়াও আইন শৃংখলা বজায় রাখতে শহরে পুলিশ তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।