আওয়মীলীগ ক্ষমতায় না থাকলে নেতা কর্মীদের কবরেও জায়গা হবেনা—এমপি খোকন

গাংনীর সাহারবাটিতে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধায় সাহারবাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শহিদ এমলাক হোসেন স্মৃতি মঞ্চে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়মীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন।

মেহেরপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল আমিন ধুমকেতুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোখলেছুর রহমান মুকুল,সাহারবাটি ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান। স্কুল শিক্ষক দানেসুর রহমানের কোরআন তেলায়াতের মধ্য দিয়ে সুচনা অনুষ্ঠানে সাহারবাটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ মুর্শেদ অতুলের সঞ্চালিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক। অনুষ্ঠানে গাংনী উপজেলার আওয়ামীলীগ,যুবলীগ,কৃষকলীগ,ছাত্রলীগসহ অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

এসমময় প্রধান অতিথি সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন, সাহারবাটি গ্রাম একটি সাংস্কৃতিমনা গ্রাম। এগ্রামে অনেক গুণি মানুষের জন্ম হয়েছে। ইতিহাস ঐতিহ্যে গ্রামটি জেলার একটি মডেল গ্রাম। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তি যুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনীর হাতে নিহত হয় শহিদ এমলাক হোসেন,উজির মালিথাসহ অনেকেই। দেশ স্বাধীনে এ গ্রামের মানুষের অনেক অবদান রয়েছে। যারা মুক্তিযুদ্ধে হানাদারদেও হাতে নিহত হয়েছেন তারা কেউ স্বাধীনতার ৫০ বছরেও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকুতি পাইনি। মুক্তিযুদ্ধ বান্ধব সরকার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিয়েছেন। তারই সুযোগ্য কণ্যা শেখ হাসিনা ক্ষমাতায় এসে পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি করেছেন,বাড়ি বানিয়ে দিয়েছেন,তাদের সন্তানদের চাকরি দিয়েছেন। কোন মুক্তিযোদ্ধা আজ দুরাবস্থায় নেই। তাই শেখ হাসিনা সরকারের আমলে মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা জীবন দিয়েছেন তাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতির দাবী তুলেছেন। এদাবী সময়ের দাবী। এদাবী ন্যায্য দাবী। সাহারবাটি গ্রামের শহিদ এমলাক হোসেন,উজির মালিথাসহ অন্ততঃ ১০জনের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতির দাবীর সাথে একাত্নতা ঘোষানা করেছেন তিনি।

এসময় সাংসদ সাহিদুজ্জামান খোকন আরও বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়ন হয়,রাস্তাঘাটে বোমা ফাটেনা,মানুষ নির্বিগ্নে রাস্তায় চলতে পারে গৃহস্থের কোমরে গোয়ালের গুরুর দড়ি বেঁধে কৃষককে রাত জেগে বসে থাকতে হয়না। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় না থাকলে বিএনপি-জামাতের অত্যাচারে এলাকা ছাড়া হতে হবে আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের, এসরকার ক্ষমতায় না থাকলে আওয়ামীলীগ নেতাদের কবরেও জায়গা হবেনা। তাই অওয়ামীলীগের মধ্যে বিভক্ত না হয়ে বাড়িতে ঘুমাতে চাইলে, পরিবারের সাথে সংসারে থাকতে চাইলে আবারও আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় আনতে হবে। না হলে স্বাধীনতা বিরোধীরা আপনাদের এলাকা ছাড়া করবে। রাস্তায় রাস্তায় খুনের শিকার হতে হবে। বিএনপি নেতারা যতই নাচানাচি করুক না কেন এর পর থেকে তারা আর আন্দোলনের নামে নাশকতা ও বিশৃংখলা করতে চাইলে রাস্তায় তাদের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়ার জন্য নেতা কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন। আলোচনা সভা শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সংগীত শিল্পীরা।