"আওয়ামীলীগ ১৫ বছরে বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা, নির্যাতন মিথ্যা মামলা দিয়ে ধ্বংস করতে চেয়েছে".... সাবেক এমপি আমজাদ

“আওয়ামীলীগ ১৫ বছরে বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা, নির্যাতন মিথ্যা মামলা দিয়ে ধ্বংস করতে চেয়েছে”…. সাবেক এমপি আমজাদ

মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও মেহেরপুর-২ আসনের সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন বলেছেন, আওয়ামীলীগ বিগত ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীদের হত্যা, নির্যাতন মামলা হামলা দিয়ে ধ্বংস করতে চেয়েছিলো। কিন্তু তারা সেটা পারেনি। আওয়ামী লীগ ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে বিরোধীদের দমন পিড়ন চালাচ্ছে। অথচ, বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ৭১ স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে এদেশে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। সকলকে রাজনীতি করার অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছিলো। বিএনপি হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়, শান্তিতে বিশ্বাসি।

আজ বিকালে বিএনপির গাংনী উপজেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত “বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা এবং ফ্যাসিবাদ পতন ও ভোটের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে কারা নির্যাতিত সহযোদ্ধাদের সম্মানে দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের গাংনী উপজেলা শাখা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মেহেরপুর জেলা কৃষকদলের আহবায়ক মাহাবুব আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন আরো বলেন, এই সৈরাচারী ফ্যাসিবাদ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে বিএনপি নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই-সংগ্রাম করতে হবে। সকল অন্যায়কে ছুড়ে ফেলে দিয়ে সমাজ ও দেশে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দ্যেশে আরো বলেন, বিএনপি করবেন অথচ নৌকায় ভোট দিতে যাবেন, এটা সহ্য করা হবেনা। যারা ভোট দিতে যাবেন তাদের চিহ্নিত করে রাখা হবে।

প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোমিনুর রহমন। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া একজন আপোষহীন নেত্রী। ওয়ান ইলেভেনের সময় খালেদা জিয়াকে বলেছিলেন আপনি যে দেশে যেতে চান যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেদিন তাদের কথা শুনে যাননি। তিনি বলেছিলেন বাংলাদেশের ৫৬ হাজার বর্গমাইলের বাইরে আমার কোনো ঠিকানা নেই। এই দেশ আমার সব।

তিনি আরো বলেন, আজকে ছাত্রদলের ছেলেদের বিয়ে হচ্ছেনা, যুবদলের ছেলেদের চাকুরী হচ্ছে না। সামাজিক কোনো স্থানে যায়গা নেই। বাংলাদেশের পরিবর্তন অবসমভাবি। অচিরেই বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তন হবে। তাই সকল পরিবর্তনের আগে দলের ঐক্য গড়তে হবে। ঐক্য ছাড়া কোনো বিজয় আসবেনা।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক মো: আখতারুজ্জামান সজল, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ, গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু প্রমুখ।

মেহেরপুর জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় আনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, গাংনী পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, গাংনী উপজেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মখলেছুর রহমান মুকুল, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল গাফ্ফার, গাংনী উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক ইউসুব আলী, গাংনী পৌর কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। পরে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।