আওয়ামী লীগের আমলে গত ১৩ বছরে একটি মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি- কৃষিমন্ত্রী

চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানার বেগমপুর ইউনিয়নের রাঙ্গিয়ার পোতা গ্রামে আনার বাগান পরিদর্শন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এ সময় তিনি বলেন আমাদের দেশেই এখন সব রকম চাষ করা সম্ভব তাই কৃষিখাতকে আমরা ঢেলে সাজ্জাছি। আনার বাগান পরিদর্শন শেষে দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানার পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের হৈবৎপুর গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি সংগ্রহ শালা ও নবান্নে ধান কর্তন অনুষ্ঠানরের শুভ উদ্ধোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ড.আব্দু রাজ্জাক।

আজ মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর)  দুপুর ১২ টার দিকে হৈবৎপুর গ্রামে এ শুভ উদ্ধোধন করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খানের  সভাপতিত্বে ,প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্যে রাখেন বাংলাদেশ সরকারের কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধার চেতনায় এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ, বৈশ্বিক পরিস্হিতি – মোকাবেলায় সকল আবাদী অনাবাদী পতিত জমি চাষের আওতায় আনতে হবে। বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ,বাংলাদেশে কোন খাদ্যের ঘাটতি হবে না, বর্তমান বিশ্বে মহামারী ও দূভিক্ষ দেখা দিলেও বাংলাদেশে কোন ঘাটতি হবে না। আমরা সব সময় জনগনের পাশে আছি এবং থাকবো। এ সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের যত রকম সুযোগ সুবিধা আছে সব রকম আমরা দিয়ে আসছি। আমরা আগামী দিনে সরকার গঠন করে দেশকে আরও একধাপ এগিয়ে নিতে চাই। তাই আগামীতে জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই।

তিনি আরও বলেন বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলে আশ্বিন-কার্তিক মাসে প্রতিদিন দুই থেকে পাঁচজন মানুষ না খেয়ে মারা গেছে। আওয়ামী লীগের আমলে গত ১৩ বছরে একটি মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি। বাণিজ্যিক কৃষিব্যবস্থা গড়তে কাজ করছে সরকার।

সরকার আধুনিক ও বাণিজ্যিক কৃষিব্যবস্থা তৈরি করতে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, কৃষিতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। পরিত্যক্ত জমিগুলোকে কৃষির আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ জন্য সরকার থেকে নানা রকম সহযোগিতা দেয়া হয়েছে।

এ সময় ড. আবদুর রাজ্জাক আরও বলেন, কৃষি যদি লাভজনক না হয় কেউ চাষ করবে না। আমরা চেষ্টা করছি, লাভজনক কৃষিব্যবস্থা গড়তে। যাতে কৃষক নিজের প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি অর্জিত অর্থ দিয়ে জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করতে পারে।সে লক্ষে সরকার সারাদেশ ব্যাপি কাজ চালাচ্ছে। দর্শনা পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের হৈবৎপুর গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি সংগ্রহ শালা ও নবান্নে ধান কর্তন অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোঃ আলী আজগার টগর, বাংলাদেশ কৃষিমন্ত্রলয়ের সচিব সায়েদুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ, দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও নব নির্বাচিত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু , চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন ।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান ও দর্শনা পৌর আ.লীগের সাধারন সম্পাদক আলী মুনছুর বাবু,দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম জীবননগর উপজেলার চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান হাফিজ,অনুষ্টানটি সার্বিক উপস্হাপনা করেন পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম জাকারিয়া আলম।