আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই মুক্তিযোদ্ধাদের চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে- আ ক ম মোজাম্মেল হক

করোনার কারনে আমরা সঠিক সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করতে পারিনি। আমাদের যাচাই বাছাই প্রায় সম্পুর্ণ। আমরা আশাবাদী আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যেই মুক্তিযোদ্ধাদের চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করতে পারবো। মঙ্গলবার সকালে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক । পরে প্রস্তাবিত মুজিবনগর স্মৃতিকেন্দ্র স্থাপন বিষয়ক পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, আগের তালিকা থেকে ৫/৭% বাদ পরতে পারে এবং নতুন করে কিছু সংযোজন হতে পারে। সেই সাথে যারা এ তালিকা থেকে বাদ যাবে তাদের আপিল করারও সুযোগ থাকবে। আমরা আগামী জানুয়ারী মাসের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। আর সে অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনও গঠন করা হয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক আরও বলেন, মুজিবনগরে স্মৃতিকেন্দ্র স্থাপনের জন্য আজকে জায়গা পরিদর্শন করবো। জমি অধিগ্রহণের জন্য আলোচনার ভিত্তিতে মুজিবনগর বাসীর চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কিভাবে কি করা যায়। তাছাড়া লেক কোথায় হবে, রাইডস কোথায় বসানো হবে সেকল কিছুর ম্যাপ আমাদের তৈরি করা হয়েছে। মূলত সেগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে ও জনগনের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে যাতে আমরা চুড়ান্ত তালিকা তৈরি করে ১ তারিখের মধ্যে তালিকা প্লানিং কমিশনে পাঠাতে পারি সেই প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সাংস্কৃতিক বান্ধব সরকার। ইতিমধ্যে আমরা ১২ হাজার সাংস্কৃতিক কর্মিকে অনুদান দিয়েছি। কোভিড-১৯ এর পরবর্তী পর্যায়ে আমরা সারা দেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাংস্কৃতিক অঙ্গন চালু করার উদ্যোগ নিয়েছি। সব মিলিয়ে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি আমাদের সংস্কৃতির পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড.মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে মুজিবনগর স্মৃতিকেন্দ্র স্থাপন বিষয়ক পর্যালোচনা সভায় অংশ নেন। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়াল কনফারেন্সে যোগদেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি। এমসয় উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ,খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড.মুঃ আনোয়ার হোসেন, স্থাপনা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক আসিফুর রহমান ভুঁইয়া, মেহেরপুর পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী, মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এমএ খালেক, যুগ্ম সম্পাদক এ্যাডভোকেট ইব্রাহীম শাহিন,পাবলিক প্রসিকিউটর পল্লব ভট্টাচার্য, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন সরকার প্রমুখ।
মেপ্র/এমএফআর