
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও আলোচনা, তর্ক বিতর্ক বেড়ে চলেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম। আজ এক নেতার অনুসারী ‘আলহামদুল্লিাহ’ স্ট্যাটাস দিচ্ছেন তো কাল আরেক নেতা পাল্টা ‘আলহামদুলিল্লাহ’ লিখে মাঠ সরগরম করে রাখছেন। কেউ লিখছেন, ‘দেখা হবে বিজয়ে’ তো কেউ লিখছেন ‘পথ দেখাবে যোগ্য নেতা’। এ ধরণের নানান উপমা, বিশেষণে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ফেসবুক সরগরম হয়ে থাকছে। এর মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ফোন কলে আরও সরগরম হয়ে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ। সবমিলিয়ে কে হবেন বিএনপির কাণ্ডারি তা হয়তো সপ্তাহখানেকের মধ্যে দলটি নিশ্চিত করবেন।
আজ সোমবার শেষবারের মত খুলনা বিভাগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিয়ে মিটিংয়ে বসবেন দলটির শীর্ষ নেতারা। তারেক রহমান ভার্চুয়ালি সভার নেতৃত্ব দেবেন বলেও জানা গেছে। তবে যারা ডাক পেয়েছেন তারা সকলেই আশাবাদি । দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে মাঠে কাজ করার আহবান জানানোয় হতে পারে আজকের মিটিংয়ের মূল সারমর্ম।
দলের নির্ভযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, মেহেরপুরের দুটি আসন থেকে ৫ নেতাকে ডাকা হয়েছে এ মিটিংয়ে। বিকাল ৩ টার দিকে মিটিং শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এই ৫ নেতার মধ্যেই দুই নেতার ভাগ্য খুলবে এটা মোটামোটি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মেহেরপুর -১ আসন থেকে যাদের ডাকা হয়েছে তারা হলেন- সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাসুদ অরুন , জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. কামরুল হাসান ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন। মেহেরপুর-২ আসন থেকে ডাকা হয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন, জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন।
আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে খুলনা বিভাগীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতাদের নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করবেন।
মেহেরপুর-১ আসন থেকে মিটিংয়ে ডাক পাওয়া এক নেতা জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে মহাসচিব ডেকেছিলেন আসন প্রতি মনোনয়ন প্রত্যাশীদের। সেই ধারাবাহিকতায় এভার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ডেকেছেন বিভাগওয়ারী সকল মনোনয়ন প্রত্যাশীকে। আজ সোমবার খুলনা বিভাগের সকল মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতারা মিটিংয়ে উপস্থিত থাকবেন। মেহেরপুর -১ আসন থেকে গতবারের মত ৩ জন এবং মেহেরপুর-২ আসন থেকে ২ দুই জনকে ডাকা হয়েছে। মিটিং শেষে বোঝা যাবে কেন ডাকা হয়েছে। তবে আমার মনে হয়েছে মনোনয়ন যাকেই দেওয়া হবে তার হয়েই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশ আসতে পারে। মনোনয়ন কে পাবেন আমার মনেহয় তা চুড়ান্ত হয়েই গেছে তবে প্রকাশ হতে হয়তো সপ্তাহখানেক সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন এই নেতা।