
যারা আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন, তারা সমাজে অনেক সময় অবহেলার শিকার হন। তাদের আত্মবিশ্বাস কমে যায়, তারা স্বাভাবিকভাবে সমাজে মিশতে পারেন না। অথচ এই মানুষগুলোকেই আমাদের আগলে রাখতে হবে। তাদের সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে আনাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বলুহর ইউনিয়ন পরিষদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত বিশেষ উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল।
জেলা প্রশাসক জানান, বাংলাদেশের মধ্যে আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি ঝিনাইদহ জেলায়। এ নিয়ে আমরা প্রতিটি উপজেলায় কাজ করছি। ইতোমধ্যে কয়েকটি উপজেলার কিছু ইউনিয়নে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যদিও একা আমার পক্ষে জেলার সব ইউনিয়নে গিয়ে সবার কথা শোনা সম্ভব নয়, তবুও উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জীবনকে ভালোবাসুন, আত্মহত্যাকে না বলুন এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আমরা সচেতনতামূলক কাজ করছি, এই উঠান বৈঠক তারই অংশ।
উঠান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আনিসুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর ইসলাম, কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আমানউল্লাহ আল মামুন, কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বসির আহমেদ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিলা বেগম এবং বলুহর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ওলিয়ায় বহমান।
উঠান বৈঠকে বলুহর ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ড থেকে গত ২৫ বছরে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়া মোট ৪৫ জন।