আদালতের স্বপ্রনোদিত মামলা তদন্তের নির্দেশ

গাংনীর বেতবাড়িয়া গ্রামে পরোকীয়া প্রেমের জের ধরে স্থানীয় ইউপি সদস্যের বাড়িতে শালিস বিচারের নামে দেড় লাখ টাকা জরিমানা আদায়ের ঘটনা দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকা ও পরের দিন কয়েকটি অনলাইন মিডিয়াতে প্রকাশ হওয়ার পর মেহেরপুর আমলী আদালত (সদর) সিনিয়র জুডিশীয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, শরিয়ত উল্লাহ বিষয়টি আমলে নিয়ে স্বপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছেন।এবং একই সংগে গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেছেন।
ওই ঘটনা নিয়ে মেহেরপুর প্রতিদিনের প্রথম পাতায় “গাংনীতে দেড় লাখ টাকার বিনিময় বড় বোনকে সংসার করতে দিলেন মমতাজ”শীরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটি নজরে আসার পর মহেরপুর আমলী আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, শরিয়ত উল্লাহ’র স্বপ্রণোদিতভাবে এ রুল জারি করেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকালে কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য সাইদুল ইসলাম বেতবাড়িয়া গ্রামে তার নিজ বাড়িতে শালিস বৈঠক করেন। এসময় কাজিপুর ইউনিয়নের আরেক ইউপি সদস্য ফুল চাঁদসহ এলাকার বেশ কয়েকজন ব্যাক্তিবর্গ ওই শালিস বৈঠকে বেতবাড়িয়া গ্রামের শাহাবুল ইসলা কে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেন। এসময় নগদ ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন ও বাকী ১ লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য সময় বেধে দেন তারা।
সাম্প্রতিক সময়ে গাংনী উপজেলার বেতবাড়িয়া গ্রামের শাহাবুল মোল্লার সাথে পরোকীয়ার জের ধরে শালিকা মমতাজ খাতুন চলে যায়। এঘটনায় ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান ও ফুলচাঁদ শালি দুলাভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করে তাদেরকে বাড়িতে নিয়ে আসে। এ নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় বসে গ্রাম্য সালিশি। এতে দেড়লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়। ওই টাকা দেয়া হয় শাহাবুলের শশুর কাজিপুর গ্রামের মজিবর রহমানকে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, তিনি মোবাইল ফোনে তদন্তের একটি কপি পেয়েছেন। মূল কপি পেলেই তদন্ত শুরু করবেন।