আবারো সভাপতি সবুজ ও সাধারন সম্পাদক মাসুদ প্যানেল বিজয়ী

সকল জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটিয়ে কড়ানিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দর্শনা কেরুজ চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

এ নির্বাচনে সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি ফিরোজ আহমেদ সবুজ ও সাধারন সম্পাদক পদে মাসুদুর রহমান মাসুদ প্যানেল বিজয়ী হয়েছেন।

এ নির্বাচনে সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি ফিরোজ আহমেদ সবুজ (ছাতা) প্রতিকে পেয়েছেন ৭৬৫ ভোট ও তার একমাত্র নিকটতম প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী সাবেক সভাপতি তৈয়ব আলী (বাইসাইকেল) প্রতীকে পেয়েছেন ৪০৫ ভোট।
এ নির্বাচিত প্রার্থীদ্বয় গত দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে প্যানেল করে নির্বাচিত হন। তারই ধারাবাহিকতায় এবারো সভাপতি প্রার্থী সবুজ ও সাধারন সম্পাদক প্রার্থী মাসুদ ভোটের ১ দিন আগে প্যানেল ঘোষণা করেন এবং তারা ভোটের মাধ্যমে এ জুটি দ্বিতীয় বারের মত আবারো নির্বাচিত হলেন। সাধারণ সম্পাদক পদে ৮ বারের নির্বাচিত বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ (চাঁদতারা) প্রতিকে ৭০২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী মনিরুল ইসলাম প্রিন্স (আনারস) প্রতিকে পেয়েছেন ৩৬০ ভোট ও জয়নাল আবেদীন নফর (হারিকেন) প্রতিকে ১০২ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

গতকাল শনিবার সকাল ৮টা হতে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত দর্শনা কেরুজ নতুন উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ ভোট গ্রহণ শেষে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের ঘোষিত ফলাফলে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের প্রাপ্ত ভোট অনুযায়ী অন্যান্য পদের মধ্যে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন ২ জন।

এদের মধ্যে মফিজুল ইসলাম (তালাচাবী) প্রতিকে ৬২৩ ভোট পেয়ে প্রথম ও রেজাউল করিম (টেবিল) প্রতিকে ৪৯৬ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এদের প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী এসএম কবীর (কলস) প্রতিকে ৪৭১ ভোট ও আনিসুর রহমান (গরুরগাড়ী) প্রতিকে ১৮১ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। যুগ্ন-সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন ২ জন। হাফিজুর রহমান (হাঁস) প্রতিকে ৫৯৮ ভোট পেয়ে ১ নং ও মোস্তাফিজুর রহমান (চেয়ার) প্রতিকে ৫৭২ ভোট পেয়ে ২ নং সহ-সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী খবির উদ্দিন (আম) প্রতিকে ৩৮৩ ভোট ও আতিয়ার রহমান (মাছ) প্রতিকে ১৬৯ ভোট এবং মহিদুল ইসলাম (হাতপাখা) প্রতিকে ৮২ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ইকবাল হোসেন (কাপপিরিচ) প্রতিকে ৫৮৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র নিকটতম প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী বাবুল আক্তার (প্রজাপতি) প্রতিকে ৫৩৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। দপ্তর সম্পাদক পদে সালাউদ্দিন সনেট (উড়োজাহাজ) প্রতিকে ৭২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ও তার একমাত্র নিকটতম প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী আবুল হোসেন (হরিণ) প্রতিকে ৩৯৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। প্রচার সম্পাদক পদে আব্দুল কুদ্দুস (মোবাইল ফোন) প্রতিকে ৫৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। একই পদে প্রতিদ্বন্দিতা করে মিজানুর রহমান (মোড়গ) প্রতিকে ৩৪১ ভোট এবং ইয়াসির আরাফাত মিলন (কুড়েঘর) প্রতিকে ১৫৩ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। কোষাধ্যক্ষ পদে আবু সাঈদ (কাঠাল) প্রতীকে ৬৪৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ও তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দি খন্দকার কায়েশ আব্দুল্লাহ (রিকশা) প্রতিকে ৪২৬ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

এছাড়া সদস্য পদে ৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১ ও ৬ নং ওয়ার্ডে ৪ জন প্রার্থীর কোন প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী না থাকায় ভোট গ্রহণের আগেই তাদেরকে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত করেন নির্বাচন কমিশন। তারা হচ্ছেন ১ নং ওয়ার্ড প্রশাসন ও হিসাব বিভাগে সেলিম খান, ৩ নং ওয়ার্ড উৎপাদন বিভাগে মাজেদুল ইসলাম (ডাবলু), নুরুল ইসলাম ও মজিবর রহমান। সদস্য পদে ২ নং ওয়ার্ড (চুলাই কারখানা) ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করে ২ জন নির্বাচিত হয়েছেন। এদের মধ্যে আমিনুল ইসলাম (ডাব) প্রতিকে ১০৯ ভোট ও বাবর আলী (বেলচা) প্রতিকে ৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী আব্বাস আলী (বালতি) প্রতিকে ৪১ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। ৩ নং ওয়ার্ড পরিবহন বিভাগে (গ্যারেজ) ৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করলেও নির্বাচিত হয়েছেন ২ জন। তাদের মধ্যে শরিফুল ইসলাম (টর্চলাইট) প্রতিকে ১৩১ ভোট পেয়ে প্রথম ও বাবুল আক্তার (গোলটুপি) প্রতিকে ৯০ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী শফিকুল ইসলাম (আখের আটি) প্রতিকে ২৪ ভোট, জাহিদুল ইসলাম (ডাব) প্রতিকে ২০ ভোট ও মোজাহারুল ইসলাম (হাতুড়ি) প্রতিকে ১২ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

৪ নং ওয়ার্ড (ইক্ষু সংগ্রহ বিভাগে) ৩ জন প্রতিদ্বন্দিতা করে নির্বাচিত হয়েছেন ২ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে কামরুল হাসান লোমান (আখের আটি) প্রতিকে ৯১ ভোট পেয়ে প্রথম ও মাহামুনুল হাসান (টর্চলাইট) প্রতিকে ৮৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। একই পদে প্রতিত্বন্দিতা করে মতিয়ার রহমান (ডাব) প্রতিকে ৭৯ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। ৫ নং ওয়ার্ড (ইক্ষু উন্নয়ন বিভাগে) ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করে নির্বাচিত হয়েছেন ২ জন। এদের মধ্যে সাহেব আলী শিকদার (টর্চলাইট) প্রতিকে ৭৯ ভোট পেয়ে প্রথম ও হারিজুল ইসলাম (আখেরআটি) প্রতিকে ৭০ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় নির্বাচিত হয়েছেন।

একই পদে প্রতিদ্বন্দিতা করে পরাজিত হয়েছেন সাইফ উদ্দিন সুমন (ডাব) প্রতিকে ৫৭ ভোট। ৭ নং ওয়ার্ড (প্রকৌশলী) বিভাগে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করে ৩ জন নির্বাচিত হয়েছেন। এদের মধ্যে আজাদুল ইসলাম (হাতুড়ি) প্রতিকে ১৩০ ভোট পেয়ে প্রথম, ইদ্রিস আলী (ডাব) প্রতিকে ১০৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় ও জহিরুল ইসলাম (বালতি) প্রতিকে ১০২ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন। এ পদে প্রতিদ্বন্দিতা করে জাহিদুল ইসলাম (গাভী) প্রতিকে ৬৩ ভোট, শ্রী তারাপদ বিশ্বাস (আখেরআটি) প্রতিকে ৫৮ ভোট ও রবিউল ইসলাম (বেলচা) প্রতিকে ৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন।কেরুজ দ্বী-বার্ষীকি নির্বাচনে মোট ভোট ১১৮৭ তার মধ্যে ভোটাররা ভোট প্রয়োগ করেছেন ১১৭০।

এ নির্বাচনে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন ও ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন কেরুজ চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (অর্থ)মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। এ নির্বাচনে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অন্যন্যদের মধ্যে সদস্য সচিব পরিবহন বিভাগের (প্রকৌশলী) আবু সাইদ, সদস্য প্রশাসন বিভাগের উপ-ব্যবস্থাপক (পার্সনাল) আলআমিন, উপ-ব্যবস্থাপক (হিসাব) জাবেদ হাসান, জুনিয়ার অফিসার (বানিজ্যিক) জহির উদ্দিন দায়িত্ব পালন করেন।