আলমডাঙ্গার ডাউকি ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ আলমগীর জুয়ার বোর্ড পরিচালনা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগে বিক্ষোভের মুখে পড়েছে আলমগীর ।
আলমডাঙ্গা উপজেলার ডাউকি ইউনিয়নে গ্রাম পুলিশের দায়িত্বে থাকা আলমগীর হোসেন এখন হয়ে উঠেছেন জুয়া পরিচালনা গডফাদার। যিনি জনগণের নিরাপত্তা রক্ষার বদলে নিজেই অপরাধ সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রক বনে গেছেন।
অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশ আলমগীর হোসেন ডাউকি ইউনিয়নের পোয়ামারি গ্রামের বাসিন্দা ওয়াহাব আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন গভীর রাত পর্যন্ত আলমগীরের ছত্রছায়ায় চলে জুয়ার আসর। যুবসমাজ জুয়ার নেশায় জড়িয়ে পড়ছে, পরিবার ভাঙছে, সমাজ ধ্বংস হচ্ছে। এমনকি অল্প বয়সী ছেলেরাও অপরাধচক্রের শিকার হচ্ছে।
শুধু এখানেই শেষ নয়, প্রতারণারও ভয়াবহ অভিযোগ রয়েছে। ডাউকি পোয়ামারির এক অসহায় পরিবার অভিযোগ করেছে, সরকারি (পঙ্গু) ভাতা কার্ড করে দেওয়ার নাম করে তিনি ৬ হাজার টাকা নেন। কিন্তু এক বছরেরও বেশি সময় পেরোলেও কার্ডের কোনো খবর নেই। টাকা ফেরত চাইতে গেলে পরিবারটি হুমকি ও হয়রানির শিকার হয়।
প্রশাসনের নীরবতায় এ অভিযোগে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ। তারা বলছে, ইউনিয়নে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা একজন গ্রাম পুলিশই যখন অপরাধচক্রের হোতা, তখন সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? ডাউকি ইউনিয়নের প্রবীণ এক নাগরিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যে আইন রক্ষা করবে তাকেই এখন আটকাতে চাইছে জনগণ, এটা কি গণতন্ত্রের অপমান নয়?
স্থানীয়দের একটাই দাবি অবিলম্বে কুখ্যাত গ্রাম পুলিশ আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। অন্যথায় ডাউকি ইউনিয়নের শান্তি ও নিরাপত্তা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়বে।