
আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৩০ বস্তা ডিএপি সার পাচারের সময় স্থানীয় জনতা এক ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকসহ সারগুলো আটক করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার মহেশপুর মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের মিনারুল ইসলাম সরকারি বরাদ্দের ৩০ বস্তা ডিএপি সার অবৈধভাবে বিক্রি করেন গোপীবল্লভপুর বাজারের ব্যবসায়ী জিনারুল ইসলামের কাছে। পাচারের উদ্দেশ্যে সার বোঝাই ইজিবাইকটি মহেশপুর মোড়ে পৌঁছালে গাড়িটি বিকল হয়ে পড়ে। এ সময় স্থানীয় জনতা ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবুল বাসারের সহযোগিতায় সারগুলো জব্দ করে আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসে জমা দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় কৃষকেরা অভিযোগ করেন, সরকারি বরাদ্দের সার প্রকৃত কৃষকদের হাতে পৌঁছাচ্ছে না। প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ডিলারদের কাছ থেকে সার কিনে বেশি দামে বিক্রি করছেন। ফলে কৃষকেরা নিয়মিত সার সংকটে পড়ছেন।
ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের কৃষক কবির হোসেন বলেন, “ভুট্টা রোপণের মৌসুম চলছে। তিন দিন ধরে সার পাওয়ার জন্য ডিলার পয়েন্টে ঘুরছি, তবুও পাইনি। বলছে সার নাই।” অন্য এক কৃষক অভিযোগ করেন, “কৃষি অফিস বলে পর্যাপ্ত সার আছে, অথচ ডিলারের কাছে গেলে বলে শেষ। তাহলে আমরা সার পাব কবে?”
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, ডিলার পয়েন্টে সার শেষ হয়ে গেছে। উপজেলা কৃষি অফিসের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন বরাদ্দের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। এদিকে স্থানীয় কৃষকেরা অভিযোগ তুলেছেন—যখন মাঠে চাষাবাদের মৌসুম, তখন এই ধরনের অবৈধ সার পাচারের ঘটনা প্রমাণ করে যে, তদারকিতে বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে। তাঁরা দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।