
আলমডাঙ্গার বাঁশবাড়িয়ায় তুচ্ছ ঘটনায় বড় ভাই ও বৌমাকে গুরুতর জখম করলেন ছোট ভাই ও তার ছেলে। বাদীর অভিযোগ কালক্ষেপণ করছে তদন্ত কর্মকর্তা।
আলমডাঙ্গা বাঁশবাড়িয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড় ভাই আবুল কালাম (৪৮) ও তার স্ত্রী লতা (২০) কে গুরুতর জখম করলেন ছোট ভাই আলম (৪৫) ও তার ছেলে ইমন (২১)। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কালামের ছেলে ও লতার স্বামী তরিকুল (২৭) বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
গত শুক্রবার ঘটনাটির সূত্রপাত হয় সেচস্পাম্প মেশিনের কিছু নতুন যন্ত্রাংশ চুরি হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। আবুল কালামের পানের বরজে নষ্ট হয়ে থাকা সেচপাম্প মেশিন ঠিক করার জন্য কিছু নতুন যন্ত্রাংশ কেনা হয়। যা নষ্ট মেশিনের পাশে রাখা ছিল বলে জানা যায়। এ সময় কালামের ছোট ভাই আলমের ছেলে ইমন ওখানে আসে তখন মেশিনের পাশে কেউ ছিলো না। বরজ থেকে ইমনকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বাদী তরিকুল দেখে। দুইজনের মধ্যে মেশিন ঠিক করার বিষয়ে কথাবার্তা হয়। ইমন বরজ থেকে বেরিয়ে গেলে মেশিনের কাছে কোন নতুন যন্ত্রাংশ না পেয়ে তরিকুল তার বাবা আবুল কালামকে জানাই।
সেচপাম্পের নতুন যন্ত্রাংশ না পাওয়ায় আবুল কালাম ছোট ভাইয়ের ছেলে ইমনকে জিজ্ঞাসা করতে গেলে ঘটনাটি বাগ-বিতণ্ডায় রূপ নেয়। পরবর্তীতে ছোট ভাই আলম ও তার ছেলে ইমন রাগান্নিত অবস্থায় লাঠিসোটা নিয়ে কালামের মাথায় আঘাত করে, বাদী তরিকুল বাবাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও আঘাত করে বিবাদীরা।
শশুর এবং স্বামীকে গৃহবধূ লতা বাঁচাতে গেলে, চাচা শ্বশুর আলম এবং চাচাতো দেবর ইমন উভয়ই লতাকে বাঁশ দিয়ে আঘাত করলে মাথা ফেটে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে বিবাদীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় কালাম, ছেলে তরিকুল, বৌমা লতাকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হারদীতে ভর্তি করে। সকলেই এখন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে বলে জানা যায়। এরমধ্যে তরিকুল কিছুটা সুস্থ হয়ে, অভিযোগ দায়ের করে বলে জানা যায়।
তরিকুল কিছুটা অভিযোগের সুরে সাংবাদিকদের কে জানান, আলমডাঙ্গা থানার এস আই নিয়ামুল তদন্তের নামে সময়ক্ষেপণ করছেন। এদিকে বিবাদী পক্ষ তাদেরকে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে দ্বায়িত প্রাপ্ত কর্মকর্তা এস আই নিয়ামুল তার প্রতি তরিকুলের অভিযোগ অস্বীকার করেন।
তবে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলমান রয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন, বাদী ও বিবদী, প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীদের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে তদন্ত রির্পোট প্রদান করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সম্মন্বয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”