
আলমডাঙ্গা উপজেলার জোড়গাছা গ্রামে প্রেমিকের বিয়ের খবর প্রকাশ হওয়ার পর বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেছেন এক কলেজছাত্রী। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা ২৪ ঘণ্টা ওই শিক্ষার্থীর অনশনকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের জোড়গাছা গ্রামের গোলজার হোসেনের ছেলে নয়ন (২০) এবং বেলগাছি ইউনিয়নের কেদারনগর গ্রামের হায়েত আলী মন্ডলের মেয়ে কলেজছাত্রী শারমিন আক্তারের (১৮) মধ্যে দীর্ঘ পাঁচ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্কের সময় নয়ন শারমিনকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছিল। সম্প্রতি নয়ন গোপনে অন্যত্র বিয়ের উদ্যোগ নিলে এ খবর জানাজানি হয়। এরপর ক্ষুব্ধ হয়ে শারমিন প্রেমিকের বাড়ির সামনে গিয়ে অনশনে বসে পড়েন।
শারমিন অভিযোগ করে বলেন, “নয়নের সঙ্গে আমার পাঁচ বছরের সম্পর্ক। সে আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং সেই বিশ্বাসে আমরা একসঙ্গে সময় কাটিয়েছি। এখন অন্যত্র বিয়ে করার চেষ্টা করায় আমি ন্যায়বিচারের দাবিতে অনশনে বসেছি।”
এ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ভিড় জমায়। দুই পরিবারের সদস্যরা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রামবাসীরা বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ঘটনার পর পুরো এলাকায় বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। অনশন চলাকালে শিক্ষার্থীর দৃঢ় অবস্থান এবং প্রেমিকের পরিবারের নীরবতা নতুন প্রশ্ন তৈরি করেছে।