
আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি গ্রামে ফারায়েজ সম্পত্তি ক্রয়কে কেন্দ্র করে মারধর ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল রবিবার সকাল ১১টার দিকে ভুক্তভোগী মিঠু আলী ও তাঁর চাচাতো ভাই সৌখিন স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানান। তাঁরা বলেন, বেলগাছি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দুই ভাই নজরুল ইসলাম ও ওহিদুল ইসলাম এবং তাঁদের চার বোন রাবিয়া খাতুন, বেগম, সোনাভানু ও ফিলাকা খাতুন এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ফারায়েজ সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছিল।
পরিবারের অভ্যন্তরীণ সমঝোতার অংশ হিসেবে চার বোনের অংশ ১২ লাখ টাকায় দুই ভাইয়ের কাছে বিক্রির সিদ্ধান্ত হয় এবং সেই অনুযায়ী বোনেরা অগ্রিম অর্থও গ্রহণ করেন। তবে সম্প্রতি বড় বোন রাবিয়া খাতুনের মৃত্যুর পর একই গ্রামের দুলু মিয়া গোপনে ও প্রতারণার মাধ্যমে দুই বোন ও এক ভাগ্নের কাছ থেকে ওই সম্পত্তি ক্রয় করে নিয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, দুলু মিয়া বেলগাছি মৌজার আরএস খতিয়ান নং ২৫-৭৮৫২, দাগ নং ১৬৭৩৯, ১৬৫২৪ ও ১৬৫২৫ মোট ১৬.৮৪ শতক জমি স্থানীয় বেগম, ওল্টু, মন্টু, বিলকিছ, রেশমা ও ইকবালের কাছ থেকে ক্রয় করেন। তবে ওই জমি বাস্তবে ভুক্তভোগী মিঠু ও সৌখিনের দখলে রয়েছে।
মিঠু আলী জানান, শনিবার সকালে তাঁরা জমি বিক্রির বিষয়ে সত্যতা যাচাই করতে গেলে দুলু মিয়া ও তাঁর লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালায়। কিল-ঘুষি ও লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করে আহত করা হয় এবং অশালীন গালাগালসহ হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
স্থানীয়দের বরাতেও জানা যায়, এর আগে দুলু মিয়া বেলগাছি পূর্বপাড়ায় মৃত সৈয়দ মণ্ডলের ছেলে ইদু ও মৃত ওমর আলীর ছেলে ফকির চাঁদের জমি প্রতারণার মাধ্যমে ক্রয় করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ভুক্তভোগীরা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে পৈতৃক সম্পত্তি ভোগদখল করে আসছি। দুলু মিয়ার এই গোপন লেনদেন আমাদের ন্যায্য অধিকারে আঘাত করেছে। আমরা প্রতারণা ও অবৈধ ক্রয়ের বিচার দাবি করছি।
এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পুলিশ এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পায়নি বলে জানা গেছে।