আলমডাঙ্গা পৌরসভার আনন্দধাম মোড়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি দোকান পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা আনুমানিক ২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের ধারণা, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রথমে আগুন লাগে রথতলা এলাকার মৃত নরেন বিশ্বাসের ছেলে মন্টুর লন্ডি দোকানে। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের আরও দুটি দোকানে। দোকান দুটি হল হান্নান ডেকোরেশনের এবং অন্যটি রবি ফার্মেসি।
লন্ডি দোকান মালিক মন্টু জানান, “বেলা বারোটার দিকে দোকান বন্ধ করে কিস্তি দিতে বাড়িতে গিয়েছিলাম। একটু পরে দোকানে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এমন সময় আমার কাছে মোবাইলে খবর আসে আমার দোকানে আগুন লেগেছে। ছুটে এসে দেখি সব পুড়ে ছারখার। প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন আমি পথে বসে গেলাম। একটাও জিনিস অবশিষ্ট নেই।
পাশের দোকানদার হান্নান ডেকোরেশন মালিক হান্নান বলেন, “আমি দুপুরে খাবার খেতে বাড়ি গিয়েছিলাম। দোকানে তালা দিইনি। শুধু সাটার লাগানো ছিল। ফোনে জানতে পারি আগুন লেগেছে। এসে দেখি পাশের দোকানের আগুন আমার দোকানেও ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায় ২৫ হাজার টাকার ডেকোরেশনের কাপড় ও সিলিং পুড়ে গেছে।
পাশের ওষুধের দোকান মালিক রবি জানান, “আমি তখন বাড়িতে ছিলাম। স্থানীয়রা ফোনে জানায় দোকানে আগুন লেগেছে। দৌড়ে এসে দেখি পাশের লন্ডি দোকান পুরোপুরি পুড়ে গেছে। আমার দোকানের সিলিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিছু ওষুধও হয়তো নষ্ট হয়েছে। আনুমানিক ২০-২৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।”
আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। তবে দোকানগুলোর বেশিরভাগ মালামাল পুড়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আগুনের সূত্রপাত বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের মধ্যে ঘটনাস্থলে হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখা গেছে। জীবনের সকল সঞ্চয় হারিয়ে মন্টু এখন দিশেহারা। ক্ষতিগ্রস্ত তিন ব্যবসায়ীই প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।