
আলমডাঙ্গা উপজেলার চিলা ভালকি গ্রামে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়ে তানজিলা খাতুন (২২) নামের এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন।
গত শনিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তানজিলা সদর উপজেলার ভান্ডার গ্রামের মৃত আছান আলীর মেয়ে।
দুই বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের পর তানজিলার বিয়ে হয় একই উপজেলার রাহেনের ছেলে রুমানের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুককে কেন্দ্র করে তাদের দাম্পত্যজীবনে কলহ শুরু হয়। প্রথম দিকে তানজিলার নানা তৈয়ব আলী দেড় লাখ টাকা যৌতুক দেন।
কিন্তু এরপরও থেমে থাকেনি দাবি। রুমান ও তাঁর পরিবার আরও দুই লাখ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে।
নিহতের পরিবার বলছে, এ টাকা দিতে না পারায় তানজিলাকে নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো। এরই জের ধরে গত শনিবার রাতে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন মিলে তাঁকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তানজিলার নানা তৈয়ব আলী বলেন, “আমার নাতনিকে অনেক নির্যাতন করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত যৌতুক না পেয়ে ওরা ওড়না পেঁচিয়ে মেরে ফেলেছে। এখন আমরা কেবল নাতনির হত্যার বিচার চাই।”
তানজিলার কোলে রয়েছে মাত্র আট মাসের একটি ছেলে সন্তান। মায়ের মৃত্যুতে শিশুটি এখন মায়ের স্নেহ হারিয়ে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েছে।
ঘটনার পর গ্রামে শোকের আবহ বিরাজ করছে। স্থানীয়দের দাবি, যৌতুকের মতো একটি সামাজিক ব্যাধি থেকে এমন নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটছে। তাঁরা দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”