
আলমডাঙ্গায় শিকারীদের হাত থেকে ১৮টি দেশি প্রজাতির ঘুঘু পাখি উদ্ধার করেছে আলমডাঙ্গা জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ যুব সংস্থা। গত শনিবার দুপুরে উপজেলার হাড়গাড়ি এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সংস্থার সদস্যরা অভিযান চালিয়ে পাখিগুলো উদ্ধার করেন।
গতকাল রবিবার সকাল আনুমানিক ১০টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে ঘুঘু পাখিগুলোকে প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হয়। অবমুক্ত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশীষ কুমার বসু।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সদস্য সাঈদ এম হিরোন, উপদেষ্টা সাদ্দাম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আরাফাত রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, দপ্তর সম্পাদক আল রাব্বি, কোষাধ্যক্ষ আতিকুজ্জামান মেরাজ, সদস্য স্বাধীন আহমেদ, নাসিম, সিয়াম, রবিন, রাব্বি, তীব্র, বাদশা ও অন্যান্য সক্রিয় সদস্যরা।
স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, যশোর এলাকার একটি শিকারী চক্র বাঁশের লাঠির মাথায় ঝুলন্ত খাঁচায় মা ঘুঘুকে আটক করে রাখে। মা ঘুঘুর করুণ ডাক শুনে অন্য ঘুঘু পাখি খাঁচার ভেতরে প্রবেশ করলেই আটকা পড়ে যায়। শনিবার দুপুরে তিনজন শিকারী একই কৌশলে ঘুঘু শিকার করছিল।
হাড়গাড়ি গ্রামের সচেতন নাগরিক জাহিদুল ইসলামের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংস্থার সদস্যরা শিকারীদের ধরতে গেলে শিকারীরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। ধাওয়া দিলে দুইজন শিকারী ১৮টি ঘুঘু পাখি ও শিকারের সরঞ্জাম ফেলে পালিয়ে যায়। অপর শিকারী তার ধরা ঘুঘু ও সরঞ্জাম নিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
উদ্ধার করা ঘুঘু পাখিগুলোকে সংস্থার সদস্যরা রাতভর সুরক্ষায় রেখে পরদিন উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবমুক্ত করেন।
সংস্থার সদস্যরা বলেন, “বন্যপ্রাণী আমাদের পরিবেশের অংশ। শিকারী চক্রকে থামাতে সমাজের প্রতিটি মানুষের এগিয়ে আসা প্রয়োজন।”