
৯ ডিগ্রির হিমশীতে জমে গেছে আলমডাঙ্গা। জরুরি সরকারি সহায়তা না পেলে বাড়বে মানবিক বিপর্যয়। সেই সাথে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, বেসরকারি সংগঠন ও সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে।
ঘন কুয়াশা আর কনকনে হাওয়ায় কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে আলমডাঙ্গার জনজীবন। গ্তকাল রবিবার সারাদিনেও দেখা মেলেনি সূর্যের। ভোর হলেই সাদা কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় পুরো জনপদ। রাস্তা-ঘাট, গাছপালা, খোলা মাঠ—সবই মিলিয়ে যায় হিমেল ধোঁয়াশায়। সারাদিন সূর্যের দেখা না মেলায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। ঘর থেকে বের হলেই কাঁপছে শরীর, জমে যাচ্ছে নিঃশ্বাস। অনেকেই আবার মজার ছলে বলে উঠছে, বিনা পাসপোর্ট ভিসায় ইউরোপের আবহাওয়া অনুভব করতে হলে চলে আসতে হবে এই আলমডাঙ্গায়।
গতকাল রবিবার চুয়াডাঙ্গা জেলায় তাপমাত্রা নেমে আসে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা চলতি শীত মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন। ফলে শীত এখন শুধু অস্বস্তির নয়, অনেকের জন্য তা জীবনযুদ্ধের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে।সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত খেটে খাওয়া মানুষ। কৃষক, দিনমজুর, ভ্যানচালক ও শ্রমজীবীরা শীত উপেক্ষা করেই জীবিকার তাগিদে ঘর ছাড়ছেন। তবে কনকনে হাওয়ায় কাজের গতি থেমে যাচ্ছে, অনেকেই কাজ হারাচ্ছেন। খোলা আকাশের নিচে কাজ করা মানুষদের চোখেমুখে অসহায়ত্ব আর নিরব আর্তনাদ স্পষ্ট।
শীতের কাঁপুনিতে থরথর জনপদ—হিমেল বাতাসে স্থবির জীবন, আগুন ঘিরে উষ্ণতার খোঁজ, নীরব চোখে বাঁচার আবেদন।
শিশু, বৃদ্ধ, অসহায়—সকলেই আজ একই সারিতে। আগুন পোহাতে নবীন প্রবীন একই সারিতে। গ্রামাঞ্চলের চিত্র আরও ভয়াবহ। ভোরে মাঠে নামা কৃষকদের জন্য কাজ শুরু করাই হয়ে উঠছে প্রায় অসম্ভব। শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ শীতজনিত রোগ বাড়ছে। দরিদ্র পরিবারগুলোতে চিকিৎসা ব্যয় মেটানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।
এদিকে গতকাল আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছী গ্রামে শীতার্ত মানুষের পাশে আজিজুল হক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীতবস্ত্র হিসেবে অর্ধহাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন , বসুন্ধরা গ্রুপের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম, লিয়াকত আলী, সলোক মিয়া, ব্যবসায়ী সুদ্দুর রহমান, ইসলাম মালিথা, মানিক এবং সম্রাটসহ অন্যান্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।